Samakal:
2025-11-17@09:21:58 GMT

যত্নে থাকুক মন...

Published: 28th, June 2025 GMT

যত্নে থাকুক মন...

আমরা যখন কোনো দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের মতো মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় পড়ি, তখন বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তা শেয়ার করি। এতে কখনও সমাধান হয়, কখনও হয় না। অন্তত হালকা লাগে। আবার কখনও এমন সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, যা পরিবার বা বন্ধুবান্ধবকেও বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির সহযোগিতা নেওয়া উচিত। 
সাইকোথেরাপি হলো এক ধরনের মানসিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে মানসিক সমস্যা বা রোগের সমাধানে কথা বলার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এটি ওষুধবিহীন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে একজন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্ট রোগীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর সমস্যা চিহ্নিত করেন এবং মনোবৈজ্ঞানিক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে তার সমাধান দেন। যারা পেশাগতভাবে এ চিকিৎসাসেবা দেন, তাদের সাইকোথেরাপিস্ট বা কাউন্সেলর বলে। সেবা গ্রহণকারীকে বলে ক্লায়েন্ট– রোগী নয়। যারা কাউন্সেলিং করেন, তারাই সাইকোথেরাপি দেন। তবে কিছু পার্থক্য তো রয়েছেই। কাউন্সেলিং স্বল্পমেয়াদি একটি সেবা। কাউন্সেলিং মূলত ক্লায়েন্টের বর্তমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। যেমন– দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। এ ক্ষেত্রে কাউন্সেলর মাত্র কয়েকটি সেশনে ক্লায়েন্টের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধান বাতলে দেন। আর সাইকোথেরাপি দীর্ঘ সময় নিয়ে চলা একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে সমস্যার একদম গভীরে গিয়ে শিকড়কে উপড়ে ফেলা হয়। এতে ব্যক্তির অতীত ও অতীতের সমস্যাগুলো বিস্তারিত আলোচনা করে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়, যেন এর প্রভাবে বর্তমান জীবন সুন্দর হয়। যখন কারও ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে মানসিক সমস্যার প্রভাব তীব্রভাবে লক্ষ্য করা যায়, তখন একজন সাইকোলজিস্টের সহযোগিতা নেওয়া উচিত। এর মধ্যে একাগ্রতা ধরে রাখতে না পারা, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা, আবেগিক সমস্যা, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, সন্দেহবাতিকতা, দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্কে সমস্যা, আত্মহত্যাপ্রবণতা, মাদকাসক্তি অন্যতম। সাইকোথেরাপি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি, যা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল প ক উন স ল ক সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র

প্রাচীন গল্পে আছে, ইকারাস মোমের ডানা নিয়ে সূর্যের খুব কাছে উড়ে গিয়েছিল। তখন মোম গলে গেলে ইকারাস নিচে পড়ে যায়। সৃজনশীল এক ফটোগ্রাফার সম্প্রতি সূর্যের দারুণ এক ছবি তুলে সেই দৃশ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় একজন স্কাইডাইভার মাত্র এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশের জন্য সূর্যের সামনে দিয়ে নেমে যান। ঠিক তখনই তাঁকে ক্যামেরাবন্দী করেন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি। জ্বলন্ত সূর্যের মুখের ওপর দিয়ে যেন এক মানব প্রতিকৃতি নিচে নেমে গেল, এমন দৃশ্য ধরা পড়ে ক্যামেরা লেন্সে। দৃষ্টিবিভ্রমের এক অসাধারণ কীর্তি তৈরি করেছেন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি।

অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি নিখুঁতভাবে তাঁর ক্যামেরা দিয়ে একজন স্কাইডাইভারকে ক্যামেরার সংকীর্ণ ফিল্ড অব ভিউয়ের মধ্য দিয়ে নেমে যাওয়ার সময় ধারণ করেন। ছবিটি বেশ পরাবাস্তব এক অনুভূতি তৈরি করেছে। ইকারাসকে নিয়ে প্রাচীন মিথের সঙ্গে ছবিটি তুলনা করেছেন অনেকেই।

অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি চাঁদ ও সূর্যের অত্যন্ত সূক্ষ্ম ছবি তোলার জন্য পরিচিত। তিনি সূর্যের সামনে স্কাইডাইভারের এই একটি মাত্র ছবির জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সূর্যের ছবি তোলা এমনিতেই কঠিন কাজ। সেখানে সূর্যের সামনে গতিশীল একটি বিমান বা একজন পতিত মানবকে একই ফ্রেমে আনা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। বিমানটির গতিপথ, সূর্যের কোণ, ক্যামেরার অবস্থান ও স্কাইডাইভারের অবতরণের মতো সব বিষয়কে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে এক করে কাজটি হয়েছে।

অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি বলেন, ‘বলা যায়, একেবারে অযৌক্তিক একটি কাজ করেছি। যদিও চূড়ান্ত ছবিটি দারুণ এক অনুভূতি দেয়। স্কাইডাইভার ছিলেন ইউটিউবার ও সংগীতজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল সি ব্রাউন। সে সূর্যের উত্তাল হলুদ পৃষ্ঠের বিপরীতে একটি কালো সিলুয়েট বা ছায়ামূর্তি হিসেবে ছবিতে চলে এসেছে। সূর্যের অবস্থান ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরে হলেও ক্যামেরায় দারুণভাবে দেখা যাচ্ছে সব। ইকারাসের সঙ্গে তুলনা করা ছবি অসম্ভব বলে মনে হয়। আগুনের মতো সৌর ক্রোমোস্ফিয়ারের আবহের বিপরীতে একটি সত্যিকারের মানব চিহ্ন আমাদের মুগ্ধ করে। দেখে মনে হবে যেন, মহাকাশে কেউ নিচে পড়ে যাচ্ছে।’

স্কাইডাইভাররা ব্রাউনের ৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে পতন শুরু করলে প্রায় ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে প্যারাসুট খোলার আগে ছবি তোলার সুযোগ মেলে। ম্যাককার্থি একটি লুন্ট ৬০ মিলিমিটার এইচ–আলফা ক্যামেরায় তার ফ্রি ফলের ছবি তোলেন। একটি এএসআই ১ হাজার ৬০০ মিলিমিটারে একক এক্সপোজার ধারণ করা হয়। আসলে এই বিভ্রমের মূল কারণ হচ্ছে দূরত্বের সামঞ্জস্য। ব্রাউন একটি ছোট বিমান থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ফুট ওপর থেকে লাফ দেন। আর ম্যাককার্থি প্রায় আট হাজার ফুট দূরে অবস্থান করেছিলেন। স্কাইডাইভার অবশ্যই সূর্যের কাছে ছিলেন না। শুধু ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ থেকে নিখুঁত অবস্থানের কারণে স্কাইডাইভারকে অসম্ভব কাছাকাছি দেখাচ্ছিল। আসলে লাফ দেওয়ার আগে বিমানটিকে সঠিক অবস্থানে আনার জন্য ছয়বার চেষ্টা করতে হয়েছে। স্কাইডাইভারকে ফ্রেমে ধরার জন্য মাত্র একবারের সুযোগ ছিল। ম্যাককার্থি তাঁর মনিটরে সেই ক্ষুদ্র অবয়বটিকে সূর্যের আলোর সঙ্গে মিলিয়ে একটি নিখুঁত অবয়ব ধারণ করেন।

এই ছবিকে অনেকেই পৌরাণিক রূপকথার সঙ্গে তুলনা করছেন। গ্রিক মিথের ইকারাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ম্যাককার্থির এ ছবিটি সেই আখ্যানকেই একটি আধুনিক ও স্পষ্ট রূপে যেন তুলে ধরছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প
  • এশিয়ার প্রভাবশালী নারী ব্যবসায়ী কারা, কীসের ব্যবসা তাঁদের
  • করদাতা মারা গেলেও যে কারণে কর দিতে হয়, কীভাবে দেওয়া হয়
  • ৩ কোটি টাকা, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজসহ আরও যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
  • গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
  • সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেন উপদেষ্টার এপিএস
  • বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
  • সাজা হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ আবেদন করা হবে
  • সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র
  • গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান