দেশের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়াম বরিশালে গত এক দশক খেলাধুলা বন্ধ। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, এ বছরই বরিশাল স্টেডিয়ামে ক্রিকেট  আয়োজনে বিসিবি কাজ করবে। বরিশালের ক্রিকেটের প্রতি অবিচার করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার বরিশাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা লাভের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিসিসির নতুন সভাপতি বুলবুল। 

তিনি বলেন, স্থানীয় লিগ আয়োজন না করে বরিশালের ক্রিকেটারদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ১০ বছরে বরিশালে এক-দেড় হাজার ক্রিকেটার তৈরি হতে পারতো। অন্তত ১০০জন জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারতেন। 

বিপিএলে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। বরিশাল স্টেডিয়ামে বিপিএল আয়োজন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে বুলবুল জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরিশাল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

বিসিবি সভাপতি আরও জানান, দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার কাজ  হাতে নিয়েছে বিসিবি। প্রতি উপজেলা-জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটাদের ডাটাবেজ করা হবে। 

এ সময় বরিশাল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১২ কিশোর ও কিশোরী ক্রিকেটারদের পৃথক দুটি ‘সিক্স এ সাইড’ টুনার্মেন্ট এবং পেস বোলিং হান্ট ক্যাম্প উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি। বিভাগীয় কমিশনার আবু রায়হান, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার নাফিস, ফরচুন বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ক্রীড়াপ্রেমিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল স ট ড য় ম বর শ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

আংশিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় বাংলাদশে খেলাফত মজলিস: মামুনুল হক

বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আংশিক পিআর সিস্টেম (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি) চাই। বর্তমান ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না। তাই ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচনে আংশিক পিআর সিস্টেম নিম্নকক্ষে ও পূর্ণ পিআর সিস্টেম উচ্চকক্ষে চালু করা প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অন্যতম। আমাদের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী ছিলেন। ফ্যাসিবাদী রেজিমের প্রধান শেখ হাসিনা আমাদের সংগঠন ও নেতৃত্বকে সরাসরি টার্গেট করেছিলেন।’

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়ে খেলাফতের এই নেতা বলেন, রাজপথে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক ঐক্যকে নস্যাৎ করা যাবে না। বর্তমানে যে রাজনৈতিক সমন্বয়ের ধারা চলছে, যেখানে কেউ কাউকে উৎখাত করছে না, দমন করছে না, এটা যেন বজায় থাকে। কেউ যদি আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে ফিরে গিয়ে দমন-উৎখাতের রাজনীতি করে, তাহলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবে এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইসলাম ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে ৩০০ আসনেই রিকশা প্রতীকে নির্বাচন করবে। আবার বৃহত্তর জোট বা নির্বাচনী সমঝোতার মাধ্যমে ইসলাম ও দেশের স্বার্থ অধিকতর রক্ষা হলে সেদিকেও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, নির্বাচনী কাঠামোর যেসব বিষয় এখনো অমীমাংসিত, তা দ্রুত জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে। সংসদের দ্বিকক্ষীয় কাঠামোর বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ কীভাবে গঠিত হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।’

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাওলানা আকরাম আলী, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আলী উসমান, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরিফ সাইদুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ