ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ‘ফাইনান্সিয়াল লিটারেসি অন ইকোনোমিক ওয়েলবিয়িং ২০২৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল আর্থিক সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এটি কীভাবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা ও কল্যাণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা। 

ব্র্যাক বিজনেস স্কুল (বিবিএস) কনফারেন্সটি আয়োজন করে। এতে দেশ-বিদেশের ৬০জন শিক্ষক এবং গবেষক তাদের বিস্তারিত সারাংশ ও পূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রি পেশাজীবী এবং নীতিনির্ধারক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ অংশ নেন। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার হিউম্যান ইকোলোজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.

মোহাম্মদ ফাজলি বিন সাবরি।

কনফারেন্সের প্লেনারি সেশনে আলোচনা করেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান এবং ব্র্যাক মাইক্রোফিন্যান্সের সিনিয়র ডিরেক্টর অরিঞ্জয় ধর। 

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রনালয় এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথি সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। তারা ‘এমপাওয়ারিং ইনডিভিজুয়ালস অ্যান্ড অরগানাইজেশন্স থ্রু ফাইনান্সিয়াল লিটারেসি, কম্পিটেন্সি, ইনক্লুশন অ্যান্ড ডিজিটালাইজেশন’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন। 

কনফারেন্সে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ মুজিবুল হক। সমাপনী বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার। সম্মেলনে কর্পোরেট পার্টনার হিসেবে ছিল আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল), বিকাশ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট ইউন ভ র স ট ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

সাদাপাথর লুটে মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

সিলেটে সাদাপাথর লুটের পেছনে দায়ী ও মদদদাতা রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন অংশ নেন।

বক্তারা জানান, নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত লুটেরাদের ধরতে হবে। এই সম্পদ রক্ষায় যাঁদের অবহেলা আছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুটের ঘটনায় মানুষ বিস্মিত জানিয়ে বক্তারা বলেন, লুটেরাদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল। রাজনৈতিকভাবে এখন যাঁদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতা আছে, দায়িত্বশীলদের যোগসাজশ আছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেটি লোকজন দেখতে পেয়েছেন।

এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন অভিভাবকহীন। সেখানেও প্রকাশ্যে মাছ আহরণ ও গাছ কাটা হয়। সেখানেও পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন–জীবিকা সংকটের মুখে। এই হাওর রক্ষায় মুখে মুখে বড় কথা না বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’–এর আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী দীপঙ্কর বনিক, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ