গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ৬ শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ধুসর ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত ১৮জনকে কাশিয়ানী উপজেলা ১০০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন।

গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন- তাহসিন (৪), সুজন (২৭), সোহান শেখ (১৮), আসমা আক্তার (৩৫), উর্মি (২৫), সুজাতা হাওলাদার (৩৫), সাজিদ (২৬), রাবেয়া বেগম (২৬), ফাতেমা বেগম (৩২), সুজন (২৭), তানজিনা (২৫), সিয়াম (১৬), মেহেদী হাসান (২৬), তামজিদ (৪), আসাদুল (৩৫) ও আকলিম (২৬)।

ওসি কামাল হোসেন জানান, সোমবার সকালে খুলনা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানীর ধূসর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ৬ শিশুসহ ২০জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।

ঢাকা/বাদল/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে দুর্ঘটনায় আহতদের বাঁচাতে ইউএনও’র দৃষ্টান্ত স্থাপন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গুরুতর আহত তিনজনের জীবন রক্ষায় মানবিক ও দ্রুত তৎপরতার নজির স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাজ্জাত হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নের তালতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদনপুর থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি অটোরিকশা বিশনন্দি ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গ্যাসভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাতনামা দুইজন পুরুষ নিহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন— কুমিল্লার রাবেয়া (৬০), মদনপুর এলাকার সিএনজি চালক আবুল বাশার (৪৫), অজ্ঞাতনামা এক পুরুষ, এক নারী ও এক ১২ বছরের শিশু। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সারতি রানী রায় জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি ইউএনও মো. সাজ্জাত হোসেনকে অবহিত করেন। খবর পাওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ইউএনও হাসপাতালে পৌঁছে নিজ খরচে চারটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঢাকায় নেওয়ার পর আরও দুইজন মারা যান। তবে বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন এবং তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।

মানবিক ভূমিকা সম্পর্কে ইউএনও মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, "মানবিক দায়িত্ব থেকেই আমি দ্রুত হাসপাতালে গিয়েছি। তখন আহতদের জীবন বাঁচানোই ছিল প্রধান কাজ। আশা করছি, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।"

স্থানীয়রা ইউএনও'র এ উদ্যোগকে ‘সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত’ এবং ‘প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় শহীদ ও আহতদের স্বরণে এনসিপির দোয়া
  • আড়াইহাজারে দুর্ঘটনায় আহতদের বাঁচাতে ইউএনও’র দৃষ্টান্ত স্থাপন