যাত্রীবাহী বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত ২০
Published: 30th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ৬ শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ধুসর ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ১৮জনকে কাশিয়ানী উপজেলা ১০০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন- তাহসিন (৪), সুজন (২৭), সোহান শেখ (১৮), আসমা আক্তার (৩৫), উর্মি (২৫), সুজাতা হাওলাদার (৩৫), সাজিদ (২৬), রাবেয়া বেগম (২৬), ফাতেমা বেগম (৩২), সুজন (২৭), তানজিনা (২৫), সিয়াম (১৬), মেহেদী হাসান (২৬), তামজিদ (৪), আসাদুল (৩৫) ও আকলিম (২৬)।
ওসি কামাল হোসেন জানান, সোমবার সকালে খুলনা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানীর ধূসর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ৬ শিশুসহ ২০জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
ঢাকা/বাদল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩
সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ী ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু মারধরই নয়, হামলাকারীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে।
আহতরা হলেন ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন (৫৫), তার বড় ছেলে আ. সালাম (৩৪) ও ছোট ছেলে অমিত হাসান (২৭)। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় আ. সালাম নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কামাল হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এনায়েতনগর এলাকায় একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করছেন। এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করতেন।
এ কারণেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। তিনি বলেন, "ঘটনার রাতে দোকান বন্ধ করে ছেলে ও এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ হেলাল, আমান, বাবু, কাউসার, মারুফসহ আরও ১০-১২ জন আমাদের পথরোধ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, ওরা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। বাধা দিলে তারা হাতে থাকা লোহার রড, রামদা, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমার মাথায় কোপ মারে, বাম হাত ভেঙে যায়।
বড় ছেলে সালাম বাঁচাতে আসলে তাকেও চাপাতি ও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। অমিতকে মারধরের পাশাপাশি আমাদের তিনটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
হামলার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায় ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
পরবর্তীতে আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে কামাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, হামলাকারীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা খোলা দিবালোকে এমন নৃশংস হামলা চালিয়ে পুরো এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। বর্তমানে আহতদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। যে কোনো সময় পুনরায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকি জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।