উখিয়ায় র্যাবের অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ অপহরণচক্রের আরও এক সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 30th, June 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অপহরণচক্রের আরেক সদস্য মো. জায়েদ হোসেন ওরফে ফারুকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক (অস্ত্র), গুলি, র্যাবের পোশাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। জায়েদ মরিচ্যা বাজার এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে। গতকাল রোববার রাতে জায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১১ জুন রাতে উখিয়ার ১৫ নম্বর আশ্রয়শিবির থেকে মো.
আজ সোমবার বেলা দেড়টায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার সদর ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে প্রেসবিফ্রিং করে অস্ত্রসহ জায়েদকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক মো. সুমন মুন্সীসহ একটি চক্র র্যাব পরিচয়ে লোকজনকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। রোহিঙ্গা যুবক হাফিজ উল্লাহকে অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত বহিষ্কৃত সৈনিক সুমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল জায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণ চক্রের আরও দুই সদস্য নবী হোসেন ও শাহ আলমকে ধরতে র্যাবের অভিযান চলছে। এই দুজনের নিয়ন্ত্রণে চলে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন কয়েক বছর আগে ঢাকার মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট থেকে র্যাবের ইউনিফর্মগুলো তৈরি করেন। এরপর র্যাবের ইউনিফর্ম পরে চক্রের সদস্যরা টেকনাফ-উখিয়ায় নানা অপকর্ম জড়াচ্ছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি। আজ দুপুরেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলে অপহরণকারীর কাছ থেকে বাঁচল কিশোর
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে স্কুলছাত্র সাহেদ আহম্মেদ সিয়ামকে। অনেকটা পথ অতিক্রম করার পর অপহরণকারীদের একজন গাড়ি থেকে নামেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড় শুরু করে সিয়াম। আশ্রয় নেন একটি বাড়িতে।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহের আমতলা বাজার এলাকা থেকে সিয়ামকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিয়ামকে অপহরণ করা হয়।
সিয়াম মাগুরার মহম্মদপুর থানার কাওড়া গ্রামের সাইফুদ্দিন শামিমের ছেলে। সে বিনোদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে একটি কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা গ্রহণ
চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দাবিতে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
ভুক্তভোগী সিয়াম ও তার চাচা শায়েখউদ্দিন সোহান জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নাম না জানা ব্যক্তিরা সিয়ামকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অনেকটা পথ যাওয়ার পর সিয়ামকে গাড়িতে রেখে অপহরণকারীদের একজন প্রস্রাব করতে নামেন। এসময় সিয়াম কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়াতে শুরু করে।
অপহরণকারীরা ধরার চেষ্টা করলে সিয়াম ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ সদরের আমতলা বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়িরটির লোকজন সিয়ামের কাছ থেকে তার চাচার নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করেন।
ছেলের অবস্থান জানতে পেরে সিয়ামের পরিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম সিয়ামকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ভুক্তভোগী সিয়ামের বাবা সাইফুদ্দিন শামিম বলেন, “এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করব। তাদের ঘটনার সব তথ্য জানানো হয়েছে।”
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র সিয়ামকে উদ্ধার করেছে। তাকে তার বাবা ও চাচার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বজনরা মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ