কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অপহরণচক্রের আরেক সদস্য মো. জায়েদ হোসেন ওরফে ফারুকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক (অস্ত্র), গুলি, র‍্যাবের পোশাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। জায়েদ মরিচ্যা বাজার এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে। গতকাল রোববার রাতে জায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১১ জুন রাতে উখিয়ার ১৫ নম্বর আশ্রয়শিবির থেকে মো.

হাফিজ উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় করা মামলায় জায়েদ হোসেনকে আসামি করা হয়।

আজ সোমবার বেলা দেড়টায় র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার সদর ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে প্রেসবিফ্রিং করে অস্ত্রসহ জায়েদকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক মো. সুমন মুন্সীসহ একটি চক্র র‍্যাব পরিচয়ে লোকজনকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। রোহিঙ্গা যুবক হাফিজ উল্লাহকে অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত বহিষ্কৃত সৈনিক সুমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল জায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণ চক্রের আরও দুই সদস্য নবী হোসেন ও শাহ আলমকে ধরতে র‍্যাবের অভিযান চলছে। এই দুজনের নিয়ন্ত্রণে চলে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন কয়েক বছর আগে ঢাকার মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট থেকে র‍্যাবের ইউনিফর্মগুলো তৈরি করেন। এরপর র‍্যাবের ইউনিফর্ম পরে চক্রের সদস্যরা টেকনাফ-উখিয়ায় নানা অপকর্ম জড়াচ্ছে।

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি। আজ দুপুরে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার