কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু জামালপুর থেকে উদ্ধার
Published: 30th, June 2025 GMT
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু মোহাম্মদ রাসেলকে (৭) জামালপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহনপুর গ্রামের প্রয়াত দুলাল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে পাখি (২৫) ও জামালপুর সদর উপজেলার প্রয়াত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো.
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল উপজেলার আশিরপাড় এলাকার আন নূর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ২১ জুন বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই দিন সন্ধ্যায় রাসেলের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে বলেন, মাদ্রাসার সিসিটিভির ফুটেজে রাসেলকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। ২১ জুন বেলা ১১টায় এক অপহরণকারী খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় থানায় অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এরপর পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাটির তদন্তে নামে।
ওসি বিপুল চন্দ্র দে জানান, থানা-পুলিশের অভিযানে গত শনিবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকা থেকে রাসেলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মূল অভিযুক্ত ইমরান হোসেনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।