পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় গত ছয় মাসে ১০৩টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। একই সময়ে পাহাড়িদের ৩০০ একর ভূমি দখল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী এই আঞ্চলিক দলটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে জেএসএস। আজ মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

জেএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০৩টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ৩১৫ জন পাহাড়ি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৩০ শিশুকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।

জেএসএস বলেছে, দীর্ঘ ২৭ বছরেও চুক্তির দুই–তৃতীয়াংশ ধারা বাস্তবায়ন করা হয়নি। চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারা বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারেরও আন্তরিক কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। ১২ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠনের পর প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হলেও উক্ত কমিটির কোনো বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে সব পথ ও অপশক্তিকে ব্যবহার করে চলেছে। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন পাঠান জেএসএসের সহতথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ এসএস

এছাড়াও পড়ুন:

আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না: এসএস রাজামৌলি

‘বাহুবলি’খ্যাত নির্মাতা এসএস রাজামৌলি। এ পরিচালক বহুবার বলেছেন—“আমার সিনেমাগুলো পৌরাণিক কাহিনি সমৃদ্ধ।” কিন্তু রাজামৌলি ধর্ম চর্চাকারী কোনো হিন্দু নন। বরং নিজেকে একজন ‘নাস্তিক’ হিসেবে দাবি করেন। তার পরবর্তী সিনেমা ‘বারাণসী’। শনিবার (১৫ নভেম্বর) হায়দরাবাদে এ সিনেমা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জমকালো এই অনুষ্ঠানে তার ‘নাস্তিকতা’ নিয়ে কথা বলেন এই পরিচালক। 

‘বারাণসী’ সিনেমার টিজার মুক্তির আগেই টিজারের একটি অংশ অন্তর্জালে ফাঁস হয়ে যায়। এ বিষয়ে রাজামৌলি বলেন, “অনুষ্ঠান শুরুর আগে টেকনিক্যাল বিষয় চেক দেওয়া সময় ভেন্যুতে টিজারটি চালানো হয়েছিল, তখন একটি ড্রোন ফুটেজটি ধারণ করে। এর ফলে এই ঘটনার জন্ম হয়েছে।”  

আরো পড়ুন:

রাশমিকাকে বিজয়ের চুম্বন, ভিডিও ভাইরাল

অজিতের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি

এরপর রাজামৌলি বলেন, “আমার জন্য এটা খুব আবেগময় মুহূর্ত। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। আমার বাবা এসে বললেন, ‘হনুমানজি পিছন থেকে সব দেখবেন।’ সত্যি যদি তিনি দেখতেন, তাহলে এটা তিনি কীভাবে দেখলেন? এটা ভাবতেই আমার রাগ হচ্ছে।”  

রাজামৌলির স্ত্রী রমা রাজামৌলিও হনুমানের ভক্ত। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রীও হনুমানের খুব ভক্ত। সে হনুমানের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করে এবং কথা বলে। স্ত্রীর ওপরও রাগ করেছিলাম।” 

রাজামৌলি ঈশ্বরে বিশ্বাস না করার কথা বলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কারণ তার নির্মিত ‘বাহুবলি’ ফ্র্যাঞ্চাইজি বিশ্বব্যাপী ব্লকবাস্টার সিনেমার তকমা পেয়েছে। ২০২২ সাল মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রিপল আর’ সিনেমার সব জায়গাতে হিন্দু পুরাণ থেকে নেওয়া চমকপ্রদ ভিজ্যুয়াল দেখা যায়।  

‘বাহুবলি’ সিনেমায় প্রভাসের চরিত্রের সঙ্গে মহাদেবের সাদৃশ্য রয়েছে। ‘ট্রিপল আর’ সিনেমার চূড়ান্ত অ্যাকশন দৃশ্যে রামচরণের মাঝে রাম-সুলভ ছায়া দেখা যায়। একটি অনুষ্ঠানে রাজামৌলি দাবি করেছিলেন, বারাণসীর গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকশন দৃশ্য রামায়ণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং শুটিং সেটে মহেশ বাবুকে রামের সাজে দেখে তার গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। 

২০২২ সালে বিয়ন্ড ফেস্টে রাজামৌলি বলেছিলেন, “অনেকে মনে করেন হিন্দুইজম একটি ধর্ম, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা সত্যি। কিন্তু ধর্ম হিসেবে হিন্দুইজমের আগে ছিল ধর্ম বিশ্বাস; এটি একটি জীবনধারা, একটি দার্শনিক ধারণা। যদি ধর্ম হিসেবে দেখেন, তাহলে আমিও হিন্দু নই। কিন্তু যদি ধর্ম বিশ্বাস হিসেবে দেখেন, তাহলে আমি গভীরভাবে হিন্দু। আমি ‘ট্রিপল আর’ সিনেমায় যে বিষয়গুলো দেখিয়েছি, তা বহু শতাব্দী ও যুগ ধরে চলে আসা একটি জীবনদর্শন।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না: এসএস রাজামৌলি