এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেল ২ জনই
Published: 1st, July 2025 GMT
বরগুনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো, পাতাকাটা গ্রামে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জুনায়েদ (৫) এবং রাসেল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন (৮)। তাদের পরিবার প্রতিবেশী।
জুনায়েদের বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরের পাড়ে খেলছিল জুনায়েদ এবং ইয়াসিন। এ সময় আমার ছেলে জুনায়েদ পানিতে পড়ে গেলে ইয়াসিন তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেও পানিতে পড়ে ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় শিশুদের খোঁজ না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে দেখেন পুকুরে দুইজন ভাসছে। তাদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা।’’
আরো পড়ুন:
৪ কোটি শিশুকে শরণার্থী বানিয়েছে যুদ্ধ আর সংঘাত
শিশু শিক্ষার্থীকে বস্তায় ভরে নির্যাতন: সেই শিক্ষক কারাগারে
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার অনেক আগেই শিশু দুটির মৃত্যু হয়।’’
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনে মারা গেল। স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/ইমরান/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে
যশোরের শার্শা উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো ভারতীয় নাগরিক মৃত বাবাকে দেখেছেন বাংলাদেশে থাকা তাঁর মেয়ে ও স্বজনেরা। আজ বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ শেষবারের মতো বাংলাদেশি স্বজনদের দেখানো হয়।
মৃত ব্যক্তির নাম জব্বার মণ্ডল (৭৫)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। জব্বার মণ্ডলের মেয়ে রিতু মণ্ডল ও তাঁর স্বজনেরা যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল গ্রামে বসবাস করেন। বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো মরদেহ দেখানোর পর কলকাতার উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বার্ধক্যের কারণে গত মঙ্গলবার জব্বার মণ্ডলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্বজনেরা শেষবারের মতো মরদেহ দেখতে আবেদন করেন। বিষয়টি বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে পৌঁছালে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বুধবার দুপুরে শার্শা সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর স্বজনদের দেখানো হয়। পরে মরদেহ ফিরিয়ে নিয়ে দাফন করা হয়।
কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার মো. সেলিম মিয়া ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এসি সঞ্জয় কুমার রায়। এ বিষয়ে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (৪৯ বিজিবি) সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তের কোনো মানুষ মারা গেলে দুই দেশে তাঁদের আত্মীয়স্বজন থাকলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শেষবারের মতো মরদেহ দেখানোর রীতি আছে। সেই অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর মেয়েসহ স্বজনদের দেখানো হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সর্বদা সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ও আলোচনা হয়।