মহাবিশ্বের ভৌত ধ্রুবকের সঙ্গে প্রাণের সম্পর্ক আছে
Published: 1st, July 2025 GMT
আমরা যখন মহাবিশ্বের দিকে তাকাই, তখন অনেকের মনেই নানা ধরনের প্রশ্ন উঁকি দেয়। মহাবিশ্বে প্রাণের বিকাশের সুযোগ না থাকলে আমাদের অস্তিত্ব থাকত না। আর তাই প্রাণের বিকাশের সঙ্গে মহাবিশ্বের গোপন রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা।
সাধারণভাবে বলা যায়, আমাদের মহাবিশ্ব বাসযোগ্যতার এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে সবকিছুই বেশ ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নিউট্রনের ভর থেকে শুরু করে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পর্যন্ত অনেক মৌলিক ধ্রুবক জীবন বা প্রাণ বিকাশের জন্য নির্দিষ্ট মানে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক লুক বার্নস বলেন, মহাবিশ্বের বিভিন্ন ধ্রুবককে যদি কোনোভাবে হিসেবে বড় করা হয়, তখন পরমাণুর অবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।
মহাবিশ্বের প্রাণের রহস্য জানতে বিজ্ঞানীরা নৃতাত্ত্বিক নীতি নামের একটি ধারণাকে গুরুত্ব দেন। মহাবিশ্ব আপাতদৃষ্টিতে এক অসম্ভব অবস্থায় রয়েছে। মহাবিশ্বকে এভাবেই থাকতে হবে প্রাণধারণের জন্য। নৃতাত্ত্বিক নীতির দুটি প্রধান সূত্র রয়েছে। একটি সূত্র অনুসারে, যেহেতু জীবন বিদ্যমান, তাই মহাবিশ্বের মৌলিক ধ্রুবক অন্তত এই জায়গায় এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট পরিসরে জীবনকে বিকাশের অনুমতি দেয়। অপর সূত্র অনুসারে, মৌলিক ধ্রুবকসমূহের অবশ্যই সেই মান থাকতে হবে, যেন তা বিদ্যমান প্রাণ বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শন ক্যারল জানিয়েছেন, মহাবিশ্ব সর্বত্র এক রকম না। আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি, যা স্থানভেদে ভিন্ন হলে স্বাভাবিকভাবেই এমন এক স্থানে নিজেদের খুঁজে পাব যেখানে জীবনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিদ্যমান।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১১
চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার সদস্য ও আন্দোলনকারী পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারী পক্ষের সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন–চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।