যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে নিজের পুত্রবধূ লারা ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গ মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “লারা নর্থ ক্যারোলাইনায় জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে, যদিও পরে ফ্লোরিডায় স্থায়ী হয়েছে তার পরিবার। সে খুব চমৎকার একজন মানুষ, আমি সবসময়েই চাইতাম যে সে পার্লামেন্টে নির্বাচনে প্রার্থিতা করুক। এখন সে নর্থ ক্যারোলাইনায় বসবাস করে না, কিন্তু মানসিকভাবে সে সবসময় নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা।” সূত্র : রয়টার্স

২০২৬ সালের মধ্যবর্তী সিনেট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি, আর কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মোট আসনসংখ্যা ১০০টি। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের কোনোটি রিপাবলিকান আবার কোনোটি ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে অল্প কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নর্থ ক্যারোলাইনা সেই সব অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর সংস্কার ও অভিবাসন সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে সিনেটে। সেই বিলে ধনীদের জন্য কর ছাড় এবং দরিদ্রদের স্বাস্থ্যবিমার বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প।

মঙ্গলবার যখন সিনেটে ভোটাভুটির জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছিল, সে সময় নর্থ ক্যারোলাইনার সিনেটর থম টিলিস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় টিলিসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তাই আসন্ন সিনেট নির্বাচনে টিলিসকে মনোনয়ন না দিয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার ওই আসনে নিজের পুত্রবধুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

লারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় সন্তান এরিকের স্ত্রী। বর্তমানে এই দম্পতি ফ্লোরিডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের জন্য তার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির উদ্যোগে গঠিত রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার ছিলেন লারা।

বর্তমানে তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ চ্যানেলে আছেন। সেখানে তিনি ‘মাই ভিউ উইথ লারা ট্রাম্প’ নামে একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র প বল ক ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্মিথের এ কেমন ‘কুসংস্কার’!

কুসংস্কার এমন এক জিনিস  যা শিক্ষিত-অশিক্ষিত কিংবা ধনী-গরীব কোনোকিছুই মানে না। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিচিত্র সব কুসংস্কার আছে। ফুটবলে যেমন আছে, ক্রিকেটেও আছে।

হালের স্টিভ স্মিথ-স্টুয়ার্ট ব্রড থেকে শুরু করে সেকালের শচীন টেন্ডুলকার, ইমরান খান; সবাই নিজেদের ক্যারিয়ারে কিছু না কিছু কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিলেন।

শচীন সবসময় ব্যাট করতে নামার তাঁর বাঁ পায়ের প্যাড আগে পরতেন সবসময়। এরপরই ডান পায়ের প্যাড পরতেন।  স্টিভ ওয়াহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় পকেটে একটা লাল রঙয়ের ছেঁড়া কাপড় রাখতেন। শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার লাসিথ মালিঙ্গা প্রতি বলের আগে বলে ‍চুমু খেতেন। এরকম উদাহরণ ভুড়িভুড়ি রয়েছে। তবে স্টিভেন স্মিথ এমন এক কুসংস্কারের কথা বললেন তা বিশ্বাস-ই করতে কষ্ট হবে যে কারো।

অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্টিভ স্মিথের একটি অদ্ভুত কুসংস্কার আছে, টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করা পর্যন্ত তিনি ঘুমান না।

স্মিথ সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেনের সাথে 'দ্য সুইচ' (The Switch) নামক একটি পর্বে এই কুসংস্কার নিয়ে মুখ খুলেছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
স্মিথ পিটারসেনকে বলেছেন, "প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করা পর্যন্ত আমার সম্ভবত (ঘুমাতে) কষ্ট হয় এবং তারপর আমি বেশ শান্ত থাকি। এমনকি যদি আমি প্রথম ইনিংসে গিয়ে মাত্র পাঁচটি বলও খেলি এবং সেটা যদি রাতের শেষ হয়, তবুও আমার কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু আমি যতক্ষণ না আসলে গিয়ে সেই প্রথম ইনিংসটা খেলেছি, ততক্ষণ পর্যন্ত জানি না আমার কেন যেন ঘুমাতে কষ্ট হয়। শুধু একবারই নয়, আমার সবসময় কষ্ট হয়েছে।"

পরবর্তীতে পিটারসেন জানতে চান যে, এটা কি ম্যাচের আগের স্নায়ুচাপের কারণে হয়? পিটারসেন আরও যোগ করেন যে, তিনি অনেক গল্প শুনেছেন, স্মিথ কীভাবে তার ঘরে ব্যাট হাতে শুধু শ্যাডো ব্যাটিং করতেন…

স্মিথ জবাব দেন, "না, এটা উত্তেজনা (ঘুমাতে না পারা)। আমি সবসময় এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কল্পনা করার চেষ্টা করি... হ্যাঁ, আমি কিছু শ্যাডো ব্যাটিং করি। কিছু, আগের মতো অতটা না, তবে আমার বেশিরভাগ ভিজ্যুয়ালাইজেশন তখন ঘটে যখন আমি ঘুমাতে যাই।’’

‘‘এটা হয়তো এমন কিছু নয় যা আপনি স্বাভাবিক বলবেন বা যা আপনি লোকেদের করতে বলবেন। কিন্তু সেখানেই আমি আমার ভিজ্যুয়ালাইজেশন করি এবং একবার যখন আমি সেখানে যাই এবং খেলা শুরু করি, তখন আমি ঠিক থাকি এবং তার পরে আমি ঘুমাই এবং আমার ঘুম-ও হয়।’’

স্মিথ এরপর বলতে থাকেন, "আমি খুব বেশি কুসংস্কারাচ্ছন্ন নই, জানেন? আমি আমার জুতার ফিতে আমার মোজার সাথে বেঁধে রাখি। এটাই!’’

পিটারসেন আবার বলেন যে, তিনি আরেকটি গল্প শুনেছেন যে, একবার দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে ব্র্যাড হ্যাডিন তাকে বল ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন এবং ওই ম‌্যাচে স্মিথ একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। তারপর প্রতিদিন বল ছুঁড়তে হয়েছিল হ‌্যাডিনকে…

স্মিথ মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেন, "এটা ভারতের বিপক্ষে ছিল। গ্রীষ্মের শুরুতে। আমি চারটি টেস্ট ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলাম। তাই আমি তাকে বলেছিলাম আমাকে বল ছুঁড়ে যেতে। এই তো।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্মিথের এ কেমন ‘কুসংস্কার’!