পুত্রবধূকে সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প
Published: 2nd, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে নিজের পুত্রবধূ লারা ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গ মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “লারা নর্থ ক্যারোলাইনায় জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে, যদিও পরে ফ্লোরিডায় স্থায়ী হয়েছে তার পরিবার। সে খুব চমৎকার একজন মানুষ, আমি সবসময়েই চাইতাম যে সে পার্লামেন্টে নির্বাচনে প্রার্থিতা করুক। এখন সে নর্থ ক্যারোলাইনায় বসবাস করে না, কিন্তু মানসিকভাবে সে সবসময় নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা।” সূত্র : রয়টার্স
২০২৬ সালের মধ্যবর্তী সিনেট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি, আর কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মোট আসনসংখ্যা ১০০টি। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের কোনোটি রিপাবলিকান আবার কোনোটি ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে অল্প কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নর্থ ক্যারোলাইনা সেই সব অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর সংস্কার ও অভিবাসন সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে সিনেটে। সেই বিলে ধনীদের জন্য কর ছাড় এবং দরিদ্রদের স্বাস্থ্যবিমার বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার যখন সিনেটে ভোটাভুটির জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছিল, সে সময় নর্থ ক্যারোলাইনার সিনেটর থম টিলিস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় টিলিসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তাই আসন্ন সিনেট নির্বাচনে টিলিসকে মনোনয়ন না দিয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার ওই আসনে নিজের পুত্রবধুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
লারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় সন্তান এরিকের স্ত্রী। বর্তমানে এই দম্পতি ফ্লোরিডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের জন্য তার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির উদ্যোগে গঠিত রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার ছিলেন লারা।
বর্তমানে তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ চ্যানেলে আছেন। সেখানে তিনি ‘মাই ভিউ উইথ লারা ট্রাম্প’ নামে একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র প বল ক ন
এছাড়াও পড়ুন:
গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ না করার কারণ জানালেন রানী
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানী মুখার্জি। প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম করেন। আর এ খবর পুরোটাই গোপন রেখেছিলেন। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন এই জুটি। তা-ও বিদেশে। এ খবরও গোপন রেখেছিলেন তারা। পরবর্তীতে বিয়ের ঘোষণা দেন রানী মুখার্জি। তবে বিয়ের ছবি প্রকাশ করেননি এই তারকা যুগল।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রানী মুখার্জি। এ আলাপচারিতায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ না করার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
পণ্ডিত চন্নুলাল মারা গেছেন
‘আমি আর জাহ্নবী মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলাম’
রানী মুখার্জি বলেন, “আমি সবসময় ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত রাখি। আমার কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত জীবন আলাদা। আপনি যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন আমি শুধু প্রয়োজনে জনসমক্ষে আসি, তা-ও সেটা সবসময় না। কারণ কিছু জিনিস নিজের জন্য রাখতে হয়। আপনাকে আপনার পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। সব কিছু সবার দেখার জন্য নয়।”
স্বামী আদিত্য চোপড়া ও রানীর মতাদর্শ এক। তা জানিয়ে ‘ব্ল্যাক’খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের দুজনের মতাদর্শ এক। আমরা আমাদের মেয়ের ক্ষেত্রেও একই দর্শন অনুসরণ করি। আমরা চাইনি, সে এমন একটা অবস্থায় থাকুক যেখানে সে অতিরিক্ত আলোচনায় চলে আসে বা সে ভাবুক যে তার জীবনে বিশেষ কিছু ঘটছে...। তার জীবন যেন একেবারেই স্বাভাবিক হয়। এমন নয় যে, কেউ তাকে দেখে চিনে ফেলছে বা তাকে আলাদাভাবে বিচার করছে।”
আদিরা যখন নিজের পেশা বেছে নেবে, তখন তার প্রাপ্ত সম্মান যেন তার নিজের যোগ্যতায় আসে। এ তথ্য উল্লেখ করে রানী মুখার্জি বলেন, “আদিরা তার যোগ্যতায় যা কিছু অর্জন করবে, সেটাই ওর প্রকৃত পরিচিতি হবে। এই স্বীকৃতি সে পায় না, পেয়েছে বিখ্যাত বাবা-মায়ের কারণে—এমনটা যেন না হয়। আদিরা যেন নিজে নিজের পরিচিতি তৈরি করে।”
‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমার জন্য ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রানী। বয়সজনিত জটিলতার কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গে যেতে পারেনি আদিরা। রানী কন্যা আদিরার আদ্যক্ষর খচিত একটি নেকলেস পরে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন; যাতে আদিরাকে হৃদয়ের কাছে রাখতে পারেন।
রানী মুখার্জি বিশ্বাস করেন আদিরার নিজস্ব মতামত রয়েছে, সে বড় হয়ে নিজের পথ নিজেই নির্ধারণ করবে। রানীর ভাষায়—“আমি নিশ্চিত, আদিরা যখন নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছাবে, ও ওর বাবার সঙ্গে সুন্দরভাবে আলোচনা করবে এবং নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে, সে যেমন চায়, ঠিক তেমন।”
ঢাকা/শান্ত