চট্টগ্রামের এএসপি-ওসিসহ ৩ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম
Published: 2nd, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে শুরু হওয়া সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
চট্টগ্রাম নগরীর এএসপি এবং পটিয়া সার্কেলের এএসপি ও ওসিকে প্রত্যাহারে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন সংগঠন দুইটির নেতারা।
বুধবার (২ জুলাই) এনসিপি চট্টগ্রামের সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ রাতে এতথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান
গাছ কাটার প্রতিবাদে জাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং এনসিপির নেতাকর্মীরা। ফলে এই সড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের কয়েক কিলোমিটার অংশ যানজট দেখা যায়। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। এসময় অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে, দুপুর ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ডিআইজিকে নিজ কার্যালয় থেকে বাইরে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ডিআইজি না আসায় তারা ডিআইজি কার্যালয়ের সামনের জাকির হোসেন সড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, তিন ঘণ্টা পর ডিআইজি নিজ কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আন্দোলনকারীরা জাকির হোসেন সড়ক থেকে সরে যান। পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক থেকে আন্দোলনকারীরা সরে যান।
এনসিপি চট্টগ্রামের সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, “আমরা পটিয়া থানার ওসিসহ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। ডিআইজি মহোদয় আমাদের দাবি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামীকাল দুপুরের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচিতে নামব।”
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ধ কর ড আইজ এনস প অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
আরিফুলকে হত্যা করে তারই ২ বন্ধু: পুলিশ
পূর্বের কথা কাটাকাটির জেরে সুন্দরগঞ্জের চাকলিয়ার বিলে নিয়ে অটোরিকশা চালক আরিফুল ইসলাম মন্ডলকে (১৭) শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারই দুই বন্ধু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধার অতরিক্তি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শরিফুল ইসলাম জানান।
নিহত অরিফুল ইসলাম মন্ডল সুন্দরগঞ্জ উপজলোর পশ্চিম শান্তিরাম গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোশারফ হোসেন মুশফিক ও শান্ত মিয়া।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এএসপি শরিফুল ইসলাম জানান, আরিফুল গত ২৮ জুন বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন সকালে পার্শ্ববর্তী সর্বানন্দ ইউনিয়নের চকলিয়ার বিল থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে ইউপি কার্যালয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
দুই লাখ টাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা: পুলিশ
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ৩০ জুন রাতে অটোরিকশা চালক আরিফুলের বন্ধু মোশারফ হোসেন মুশফিক এবং মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে শান্ত মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজন আরিফুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, পূর্বের কথা কাটাকাটির জেরে গত ২৮ জুন রাতে মোশারফ হোসেন মুশফিক ও শান্ত মিয়া আরিফুলকে সুন্দরগঞ্জের চাকলিয়ার বিলে নিয়ে যান। সেখানে তারা আরিফুলকে অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করান। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে আরিফুলকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায় দুই বন্ধু। ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাশিমবাজার এলাকায় অটোরিকশা রেখে ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম, ডিএসবির অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ ও কায়সার আলী।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ