শুল্ক ছাড়া বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে আনা যাবে একটি ফোন
Published: 2nd, July 2025 GMT
বিদেশ থেকে পণ্য আনার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ বিধিমালায় আবারও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে সোনার অলংকার, সোনার বার ও মুঠোফোন আনার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার নতুন এক নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় একজন বিদেশফেরত যাত্রী শুল্ক পরিশোধ করে একটি নতুন মুঠোফোন আনার বিধান রয়েছে। বিধানটি সংশোধন করে এখন বলা হচ্ছে, একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে একবার একটি নতুন মুঠোফোন আনতে পারবেন। আর যেসব প্রবাসীর ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) কার্ড আছে এবং যাঁরা অন্তত ছয় মাস বিদেশে ছিলেন, তাঁরা বছরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় দুটি নতুন মুঠোফোন আনতে পারবেন।
এনবিআর গত ২ জুন নতুন ব্যাগেজ বিধিমালা (অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫) জারি করেছিল। আজ বুধবার থেকে নতুন এ ব্যাগেজ বিধিমালা কার্যকর হয়। বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালা আরও কার্যকর ও যাত্রীবান্ধব করার উদ্দেশ্যে সেই বিধিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর বলছে, বিভিন্ন অংশীজন ও মাঠপর্যায়ের দপ্তরগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় বিদেশ থেকে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশফেরত একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনতে পারবেন। আর রুপার অলংকার আনতে পারবেন ২০০ গ্রাম। এ ছাড়া নতুন বিধিমালার আওতায় তোলা প্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে একজন যাত্রী বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০ তোলা ওজনের একটি সোনার বার আনতে পারবেন।
এখন থেকে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম পূরণ করতে পারবেন। তবে সুবিধার অপব্যবহার রোধে কাস্টমস হল বা এলাকা ত্যাগ করার আগে ব্যাগেজ ঘোষণা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে