সোনাগাজীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, দুই ভাই গ্রেপ্তার
Published: 17th, August 2025 GMT
ফেনীর সোনাগাজীতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সোনাগাজী থানায় মামলাটি করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাকিবুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (২৬) ও মনোয়ারুল ইসলাম ওরফে শিমুল (২২)। তাঁরা দুজন ভাই। এর মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁর ছোট ভাই মনোয়ারুলকে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ৮ আগস্ট রাতে। রাকিবুলসহ দুই ব্যক্তি কৌশলে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর তাঁর হাত-পা-মুখ বেঁধে ঘর থেকে সোনার এক জোড়া দুল, একটি স্মার্টফোন, একটি বাটন ফোন, তিন হাজার টাকা লুট করেন। তাঁকে মারধরও করা হয়। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন রাকিবুল।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ আকন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামি ও তাঁর ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’