স্পাইডার, পিস লিলি, স্নেক প্ল্যান্ট কিংবা লিথপস জাতীয় গাছকে ‘ডেস্ক প্ল্যান্ট’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। যারা কাজের ডেস্কটা গাছ দিয়ে সাজাতে চান তারা প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে বেছে নিতে পারেন গাছ।
স্পাইডার বা হোয়াইট মানিপ্ল্যান্ট
ডেস্কে স্পাইডার বা হোয়াইট মানিপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন। এই গাছে প্রতিদিন পানি দিতে হয় না। মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিলেই হয়।
পিস লিলি
যারা সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষ তারা বেছে নিতে পারেন পিস লিলি। এই ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। এর বেশি যত্নও নিতে হয় না। বড় বড় সবুজ পাতাওয়ালা পিস লিলি দেখলেই মনে শান্তি লাগে।
আরো পড়ুন:
ত্বকের মৃতকোষ দূর করবে আমের স্ক্রাবার
ভালো ছবি তোলার উপায়
স্নেক প্ল্যান্ট
ডেস্ক এবং ডেস্কের আশেপাশে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে চানা তারা বেছে নিতে পারেন স্নেক প্ল্যান্ট। এই গাছ দেখতেও সুন্দর। মনে হয় পাতাগুলো এঁকেবেঁকে নৃত্য করছে।
সাকুলেন্ট ও লিথপস জাতীয় গাছ
সাকুলেন্ট ও লিথপস জাতীয় গাছের পাতা বেশ মোটা হয়। পাতার দিকে তাকালে চোখ বিশ্রাম পাবে, চোখের অস্বস্তি কেটে যাবে। ডেস্ক প্ল্যান্টস হিসেবে এগুলোর অসাধারণ।
উল্লেখ্য, এক থেকে দেড় মাস অন্তর টবের মাটি অল্প খুঁচিয়ে সার মিশিয়ে দিলেই হল। তবে সার কখনও গাছের গোড়ায় দেবেন না। ডেস্কে বসে চিনি ছাড়া লিকার চা খেলে, কাপের তলানির চা ফেলবেন না। বরং ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই লিকার ঢেলে দিন গাছে। তাতেই সার দেওয়া হয়ে যাবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় জামায়াত নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় নজরুল ইসলাম নজির (৩২) নামে এক জামায়াত নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের একটি বিলের পাশের ফাঁকা মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহত নজরুল শীতলগ্রাম কানিপাড়ার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় বিকাশ ব্যবসায়ী এবং জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নাকাই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানান, আজ সকালে স্থানীয় লোকজন বিলের ধারে ফাঁকা জমিতে এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখতে পান। তারা কাছে গিয়ে দেখেন গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও পুলিশকে খবর দেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জহিরুলের
জয়পুরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এলাকাবাসী ধারণা, সম্প্রতি যৌথ বাহীনির অভিযানে গোবিন্দগঞ্জে কয়েকজন হ্যাকার ধরা পড়েন। এই হ্যাকারদের ধারণা, নজরুলের দোকান থেকে বিকাশ, নগদে টাকা লেনদেনের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তথ্য পেয়েছে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে নজরুলকে গলাকেটে হত্যা করা হতে পারে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, নজরুল শীতল গ্রামের বাজারে মুদি দোকানের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতেন। তিনি মাঝেমধ্যে দোকানেই রাত কাটাতেন। হ্যাকাররা প্রায়ই তার দোকান থেকে টাকা লেনদেন করতে আসতেন। নজরুল হ্যাকারদের অবৈধ টাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে টাকা লেনদেন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণেই নজরুলকে তারা হত্যা করেছে।
গাইবান্ধা জামায়াতে ইসলামীর সহ-সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থার কারণে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মানুষ এখন ঘর থেকে বের হতেও ভয় করবে। আমাদের নেতারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং দ্রুতই মামলা করা হবে। আমরা আমাদের কর্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি।”
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “বিকাশ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ