শামসুর রাহমানের অগ্রন্থিত কবিতা
Published: 17th, August 2025 GMT
ভূমিকা
১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই কবি আহসান হাবীব মারা গেলেন। কবির মৃত্যুর কিছু দিন পর তাঁর ছেলে মঈনুল আহসান সাবের বাবার অগ্রন্থিত লেখা উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। আমার কাছে লেখা উদ্ধার কাজটির প্রস্তাব আসে। আমি তখন ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে নিদারুণ অর্থকষ্টে আছি। প্রস্তাব পাওয়ামাত্র কাজটি লুফে নিই।
কিন্তু অর্থকড়ি ছাপিয়ে কাজটি নানাভাবে ধীরে ধীরে অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে। কাজটি আমি করছিলাম মূলত বাংলা একাডেমির লাইব্রেরিতে বসে। আহসান হাবীবের অসংকলিত কবিতা, অনুবাদ, গল্প ও অন্যান্য লেখার খোঁজে দিনের পর দিন আমি ১৯৪০-এর দশক থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত বাংলা ভাষায় প্রকাশিত যাবতীয় পত্রপত্রিকা উল্টে যেতে থাকি। স্পেনের কবি হুয়ান রামোন হিমেনেথের ‘প্লাতেরো ও আমি’ কাব্যগ্রন্থ আর শাহেদ সোহ্রাওয়াদীর কবিতার অনুবাদ ছাড়াও আহসান হাবীবের বিচিত্র লেখার সন্ধান পেতে থাকি। কিন্তু পূর্ব বাংলার সমাজের এক লুপ্ত সময়ের অবয়ব চোখের সামনে যেভাবে স্পষ্ট এক আকার নিতে থাকে, তা আমার নেশা ধরিয়ে দেয়।
সেসবেরই মধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা কবি শামসুর রাহমানের বহু কবিতার সন্ধান পাই। বোঝাই যায়, এই কবিতাগুলো কবি হিসেবে শামসুর রাহমানের গড়ে ওঠার সময়পর্বে রচিত। কারণ, কবিতাগুলো তিনি তাঁর কোনো বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেননি। কবিতাগুলোর গুরুত্ব তাই বলে কোনোভাবেই কমে যায় না। কারণ, এসব কবিতায় পাওয়া যাচ্ছে একজন কবির তৈরি হয়ে ওঠার পথরেখা। শুধু কি তা-ই? এসব কবিতায় এমন কিছু লক্ষণ দেখা যাবে—যেমন নিখুঁত ছন্দের প্রতি তাঁর ঝোঁক, পাশ্চাত্য পুরাণের অবাধ ব্যবহার, ব্যক্তির শূন্যবোধের আধুনিকতাবাদী প্রবণতা ইত্যাদি—পরবর্তী সময়ে যা তাঁর কবিতার একান্ত মুদ্রা হয়ে উঠবে।
কোন কবিতা কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল, বয়সের চপলতায় সে সময় তার তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হয়নি। এই অপূর্ণতা থেকেই গেল। তবু এত দিন পরে যে কবিতাগুলো আলোর মুখ দেখল, তার আনন্দই-বা কম কী!
— সাজ্জাদ শরিফ
.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
অতিথিদের কথা—উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।