নোয়াখালীতে করোনায় চলতি বছরের প্রথম মৃত্যু
Published: 2nd, July 2025 GMT
নোয়াখালীতে জেবল হক (৮০) নামের করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। জেলায় চলতি বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগে থেকেই গুরুতর ছিল। এ কারণে যথাযথ চিকিৎসা দিয়েও ফল পাওয়া যায়নি।
নিহত জেবল হক কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সেটি পরীক্ষাগারে পাঠায়। পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, তাঁদের হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা শুরু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনজন ব্যক্তি করোনার পরীক্ষা করাতে আসেন। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত করোনার কিটও রয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত একজনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং তিনিই মারা গেছেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীতে করোনায় সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। ওই দিন জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম মাইজদীর শাহ আলম (৬৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়। সেই হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২২৫।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে