আট সেকেন্ডে আটকা, প্রিমিয়ার লিগে এমন ঘটনা এই প্রথম
Published: 17th, August 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল রাতে বার্নলিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করেছে টটেনহাম হটস্পার।
জোড়া গোল করেছেন রিচার্লিসন। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড এ ম্যাচ দিয়েই টটেনহামের হয়ে চার মাস পর গোল পেয়েছেন। এ ম্যাচ দিয়ে ক্লাবটির প্রধান কোচ হিসেবে লিগে অভিষেক হয়েছে টমাস ফ্রাঙ্কেরও।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে এদিন প্রিমিয়ার লিগ এক ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছে, যা ফুটবলপ্রেমীদের অনেক দিন মনে রাখার কথা। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কার্যকর হয়েছে ‘আট সেকেন্ড নিয়ম’। টটেনহামই নতুন এ নিয়মের প্রথম সুবিধাভোগী।
উত্তর লন্ডনের টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে কাল ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র তিন মিনিট পরই ঘটে এ ঘটনা। বার্নলির গোলকিপার মার্তিন দুব্রাউকা আট সেকেন্ডের বেশি বল নিজের কাছে রেখে দেওয়ার শাস্তি হিসেবে টটেনহামকে কর্নার কিক নেওয়ার সুযোগ দেন রেফারি মাইকেল অলিভার।
দুব্রাউকা নিজেদের বক্সে আসা একটি ক্রস গ্লাভসবন্দী করেন। এরপর সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা সরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন এবং তিনি বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে বাউন্স করিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। লম্বা কিক নেবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বাঁশি বাজান রেফারি অলিভিয়ার এবং টটেনহামকে কর্নার উপহার দেন।
রেফারির এ সিদ্ধান্তে টটেনহাম কোচ করতালি দেন; কিন্তু দর্শকদের বেশির ভাগই যে নতুন নিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না, তা বোঝা গেছে টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখে। বার্নলি গোলকিপার দুব্রাউকারও যেন ফুটবলের এই আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। টটেনহাম অবশ্য কর্নারের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি।
আট সেকেন্ড পেরিয়ে যাওয়ায় টটেনহামকে কর্নার কিক নেওয়ার সুযোগ দেন রেফারি মাইকেল অলিভার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আট স ক ন ড কর ন র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশে বাংলাদেশের অবশিষ্ট কয়েকটি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ
বিদেশে বাংলাদেশের অবশিষ্ট যেসব মিশনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি রয়েছে, তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকটি মিশনে টেলিফোনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
গত শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে ফোন করেন। ঢাকা থেকে বিদেশে বাংলাদেশের নির্ধারিত কয়েকজন কূটনীতিককে নিজেদের মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে নিতে ফোনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্য মিশন, উপমিশন থেকে ছবি সরানোর জন্য অন্যদের জানাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন ও উপমিশন রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টির বেশি মিশন ও উপমিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওয়াশিংটন, দিল্লি, বেইজিংসহ বেশির ভাগ মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের ছাত্র-গণ–অভ্যুত্থানের পর এসব ছবি সরানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত শুক্রবারের আগেই যে মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত।
ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশের যে মিশনগুলো রয়েছে, সেখান থেকে আগেই সরানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি। তবে এ ছবি রাখা না রাখার কোনো নির্দেশনাও ছিল না বলে জানান তাঁরা।