মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে মানিকগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে ঢাকার লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মানিকগঞ্জে নেওয়া হয়েছে।
নাঈমুর রহমান দুর্জয় ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।
সরকার পরিবর্তনের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল এবং তার ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ঢাকা/এম/আর/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর প্রয়োজনীয় তথ্য
ডায়াবেটিসের সঙ্গে পরিচিত নন, এমন কাউকে বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এখনও ডায়াবেটিস সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। আসুন একনজরে দেখে নিই:
কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস খুব ছোট বয়সেই ধরা পড়ে। আবার কারও ক্ষেত্রে মাঝবয়সে কিংবা তারও পরে ডায়াবেটিস হতে পারে। ছোট বয়সে যে ডায়াবেটিস হয়, তা সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিস (ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস) টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা সাধারণত রোগা এবং অল্পবয়সী হন। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অন্যদিকে মোটা হন। তবে কোনো কোনো টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগী রোগা-পাতলা হতেই পারেন।
আপনার ডাক্তার যদি মনে করেন আপনার ইনসুলিনের প্রয়োজন আছে, তা নির্দ্বিধায় মেনে চলুন।
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন।
মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সাবধান। কারণ এতে আপনার প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্যানক্রিয়াস বিটা সেল (যেখান থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয়) বেশি মিষ্টি খেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
উচ্চতা কম হলে অল্প ওজন বাড়াও ক্ষতিকর। উচ্চতা তো আপনি বাড়াতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে ওজন কমানোর দিকে নজর দিন।
ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ফুড হ্যাবিটসে পরিবর্তন আনুন।
প্রসেসেড খাবাব যেমন– নুডলস, বিস্কুট, চিপস এড়িয়ে চলাই উচিত। দিনে ১০০০০ স্টেপস হাঁটুন। যে কোনো ফিটনেস ট্র্যাকার দিয়ে দিনে কতটা হাঁটলেন তার ওপর নজর রাখতে পারবেন।
ডায়াবেটিসকে বলা হয় সাইলেন্ট ডিজিজ। অন্য কোনো কারণে রক্ত পরীক্ষা করার সময় হঠাৎই ধরা পড়ে। বা ডাক্তারের কাছে হয়তো আপনি অন্য কোনো কারণে গেছেন, তার সন্দেহের কারণে রক্ত পরীক্ষা করাতে হলে হয়তো জানতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে। যেহেতু ডায়াবেটিস সাইলেন্ট ডিজিজ, তাই চুপচাপ, শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করতে পারে। চোখ, নার্ভ, কিডনি সবই এই অসুখে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।