দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরো একজন পুরুষের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে ৩৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫০ জন বরিশালের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুলনা বিভাগে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ১১৭ ডেঙ্গু রোগী
বরগুনায় ডেঙ্গুতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৯৩
এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৩২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৫ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ২৯ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৩ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ২ জন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন ও জুন মাসে ১৯ এবং জুলাই মাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগী রাজধানীর শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৮২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় হাসাপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৩৪১ জন।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও।
রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা।
এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।
যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ