গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেওয়া যাবে না: সাইফুল হক
Published: 5th, July 2025 GMT
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় লুম্পেন বখাটেরা মব সন্ত্রাস চালিয়ে সবখানে তাদের দৌরাত্ম্য প্রতিষ্ঠিত করছে। এই অবস্থা চলতে দিলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারও হঠকারিতা বা বাড়াবাড়ির কারণে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেওয়া যাবে না।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসতে দেরি হলে এই নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসব হামলা-আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে গ্রেপ্তার, কঠোর ব্যবস্থা ও আইনানুগ বিচার করতে হবে। মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ জোরদার করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক ডা.
সভার শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভার দ্বিতীয় পর্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি নির্বাচনি কক্ষে ভোট শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় ২২ বার যাতায়াত করবে শাটল ট্রেন
চাকসু জাতীয় নির্বাচনের জন্য রিহার্সেল: চবি উপাচার্য
চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে মোট ভোটারের ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েচে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছেন।
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন ৯০৮ প্রার্থী। এর মধ্যে শুধু চাকসুর ২৬টি পদে লড়বেন ৪১৫ জন প্রার্থী। চাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাঁচটি নির্বাহী সদস্য পদে ৮৫ জন।
৬০টি নির্বাচনি কক্ষের প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে পাঁচটি ব্যালট বাক্স। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ভোটার পাচ্ছেন ১০ মিনিট সময়। একজন ভোটার চাকসুতে ২৬টি ও হল সংসদে ১৪টিসহ মোট ৪০টি ভোট দিচ্ছেন।
চাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র ভোটার শতকরা ৫৮.৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রী ভোটার ৪১.১৭ শতাংশ। মোট ভোটারের ৭০ শতাংশই অনাবাসিক, বাকি ৩০ শতাংশ ভোটার থাকেন হল, হোস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কটেজে।
ঢাকা/রেজাউল/ইভা