বগুড়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূকে ফাঁস দিয়ে হত্যা
Published: 9th, July 2025 GMT
বগুড়ার দুপচাচিয়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূকে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে তাদের হত্যা করা হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান এতথ্য জানান।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের মৃত পানা উল্লাহা প্রামাণিকের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আফতাব হোসেন (৭০) এবং তার সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে শাজাহানের স্ত্রী মোছা.
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফতাব হোসেনের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। তার বড় ছেলে শাজাহান আট বছর আগে সৌদি আরব যান। শাজাহানের স্ত্রী রিভা দুই সন্তান মালিহা ও নিরবকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। আফতাব হোসেনের ছোট ছেলে ঢাকায় বসবাস করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন আফতাব হোসেন ও রিভা।
আজ বুধবার সকালে মালিহা ঘুম থেকে উঠে তার পাশে হাত-বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মাকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এলাকাবাসী এসে ঘরের বাইরে রিভার শ্বশুর আফতাব হোসেনকেও হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “নিহত রিভার ঘরের আসবাবপত্র তছনছ অবস্থায় ছিল। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা ডাকাতি সম্ভাব্য সবদিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফত ব হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের তালা দেওয়া কক্ষে মিলল ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের তালা দেওয়া একটি কক্ষের ফাইল ক্যাবিনেট থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পরিষদের নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কক্ষটি খুলে নগদ টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।
জেলা পরিষদের পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘সদ্য দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিশ্রাম কক্ষ (রেস্ট রুম) ছিল এটি। কক্ষের তালা খুলে একটি ফাইল ক্যাবিনেটের ড্রয়ার থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে টাকাগুলো উদ্ধার করে ট্রেজারিতে জমা দিয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।’
অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, পরিষদে এত নগদ টাকা থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কীভাবে এসব টাকা এই কক্ষে এল, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। উদ্ধার করা টাকাগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জিরুনা ত্রিপুরার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের আদেশ জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আনা আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।