দি মারিয়া ফিরলেন শৈশবের ক্লাবে, করলেন গোল, মাঠ ছাড়লেন স্ট্রেচারে
Published: 13th, July 2025 GMT
আনহেল দি মারিয়া এমনিতেই আবেগপ্রবল মানুষ। তাই ১৮ বছর পর শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফেরা দি মারিয়া বরণের দিনে যে আবারও আবেগে ভেসে যাবেন, তা অনুমেয়ই ছিল।
দি মারিয়ার জীবনে সেই মুহূর্ত এসেছে গতকাল রাতে। রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে আবারও খেলতে নামার আগে তাঁকে রাজসিকভাবে বরণ করে নিয়েছেন এস্তাদিও জিহান্তে দে আরোয়িতোয় উপস্থিত ৪৬ হাজারের বেশি দর্শক।
তাঁদের ভালোবাসার সিক্ত এই আর্জেন্টাইন তারকা নিজেকে সামলাতে পারেননি। হাত নেড়ে অভিবাদনের জবাব দেওয়ার সময় তাঁর দুই চোখ বেয়ে ঝরেছে পানি।
তবে আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগের (প্রিমেরা ডিভিশন) ম্যাচটি শুরু হতেই দি মারিয়া আবার হয়ে ওঠেন সত্যিকারের পেশাদার ফুটবলার। ঘরের মাঠে সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান দেন গোল করে।
৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা দি মারিয়ার গোলেই এগিয়ে যায় রোজারিও সেন্ট্রাল। গোলবারের ডান পাশ দিয়ে তাঁর নিচু করে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি প্রতিপক্ষ গোদোই ক্রুজের গোলকিপার। সেই গোলের পর দর্শকদের গগণবিদারি চিৎকার যেন সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে গেছে ভিআইপি বক্সে থাকা তাঁর পরিবারকেও।
এরপরও দি মারিয়ার দিনটা অম্লমধুর কেটেছে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় বাজেভাবে ট্যাকল করলে আঘাত পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন ৩৭ বছর বয়সী উইঙ্গার। এ সময় তাঁকে আবারও কাঁদতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনদি মারিয়ার যে রক্তের রং আকাশি-সাদা০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪দি মারিয়া মাঠের বাইরে যাওয়ার পর ম্যাচের মোড়ও ঘুরে যায়। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোদোই ক্রুজের ভিসেন্তে পোগ্গি গোল করলে রোজারিও সেন্ট্রালকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়।
অবশ্য স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হলেও গুরুতর কিছু ঘটেনি বলে ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন দি মারিয়া। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা শৈশবের ক্লাবে ফেরা নিয়ে লিখেছেন, ‘এ অবিস্মরণীয় মুহূর্তের জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছি। এতটা ভালোবাসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা যে ফল (জয়) চেয়েছিলাম, তা এই ম্যাচে পাইনি। তবে এটি সবে শুরু। এখনো অনেক পথ বাকি। চলো, এগিয়ে যাই সেন্ট্রাল।’
প্রতিপক্ষের বাজে ট্যাকলের শিকার হন দি মারিয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন