দেশের সমস্যা ও সংকট নিয়ে নিজের ফেসবুকে মতামত প্রকাশ করেছেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। ফেসবুকে বরাবরই সোচ্চার থাকা উজ্জ্বল এবার মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার ইস্যু নিয়েও কথা বললেন। মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন সামনে তুলে ধরেছেন এই পরিচালক।

মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনার পর সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল, ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। যে যাঁর মতো করে লাইভ করেছেন, ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেছেন। সে বিষয়টি উল্লেখ করে মাসুদ হাসান লিখেছেন, ‘গতকাল মাইলস্টোন স্কুলের ওপর বিমান দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকে বলতে গেলে অসাড় হয়ে ছিলাম—শোক অনুভব করার ক্ষমতা নেই এমন। উৎসুক জনতা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, ব‍্যবসায়ী—কে কী করেছে সেখানে, আমরা কমবেশি সবাই দেখেছি। তার পর থেকেই মনে হচ্ছিল, আমরা আসলে আর মানুষ নেই, মানুষ নামের একেকটা খোলস মাত্র! প্রকৃতি হয়তো এই নিষ্পাপ ফুটফুটে বাচ্চাগুলোকে আমাদের পাপের শাস্তি দিয়ে দেখতে চাইল—তাতেও আমাদের কোনো শোকতাপ-বিকার হয় কি না! না, আমাদের কিছুই হয়নি, আমরা যে যার কনটেন্ট তৈরি নিয়ে ব‍্যস্ত ছিলাম। যে কারণে নিউজফিডে মেকি শোক আর কনটেন্টের ছড়াছড়ি।’

মাসুদ হাসান উজ্জ্বল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ইলস ট ন স ক ল ব ম ন দ র ঘটন র কনট ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

‎কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের বাইরে অবস্থান তৈরি করতে পারবেন : ডিসি জাহিদুল

‎গ্রীণ এন্ড ক্লিন কর্মসূচীর আওতায় সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপারদের  বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ‎এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা

‎বিআরটিএ সহকারী পরিচালক ইঞ্জি. মো. মাহাবুব রহমান সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান, ‎নারায়গঞ্জ জেলা বাস,  মিনিবাস পরিবহনের কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি  মো. রওশোন আলী সরকার, ‎নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মিয়া‎বিভিন্ন পরিবহনের সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপারগন।

‎এর আগে  নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‎পৃথিবীতে প্রযুক্তির কারণ অনেক পরিবর্তন হয়েছে  পৃথিবী থেমে নাই। প্রযুক্তির কারণে সব সেক্টরে পরিবর্তন হচ্ছে।পরিবহন সেক্টরে অনেক জায়গায় গাড়িতে চালক বসা লাগে না। নিদিষ্ট গন্তবে নামিয়ে দিচ্ছে।

আমরা এই পরিবর্তন থামিয়ে রাখতে পারছি না ২০-৩০ বছর আগে যেমনন তেমনি চলি তাহলে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলানো হচ্ছে না। বিশ্বের সাথে তাল মেলানো হচ্ছ না। জীবন একটাই জম্মানোর পরও যদি পরিবর্ন না করেন সময়ের সাথে পরিবর্তন না করেন তাহলে স্বার্থকতা কোথায়।

‎‎যখন থেকে ইঞ্জিল আবিষ্কার হবার পর থেকে মানুষের গতি বেরে গেছে। আপনানরা ইঞ্জির চালিয়ে আমাদের জীবনের গতি বারিয়ে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের জীবনে গতি বারালেও পৃথিবীর গতিসাথে চলতে পারছি না।  পৃথিবীর গতিতে চলতে হবে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ‎‎পরিহবন সেক্টর যারা চালাচ্ছেন এই সেক্টরে রাজা ‎আপনারা।

‎আপনারা যদি শৃঙ্খলা বদ্ধ না হন, আইনশৃঙ্খলায় না আসেন, আপনাদের অবস্থান যদি তৈরি না, সম্মানের জায়গা তৈরি না হয়। ‎পরবর্তিতে যারা আসবে তারা সম্মান পাবে না।

চালক হিসাবে আপনাকে গর্ব করতে হবে কোনো পেশাই ছোটো না। আপনারা কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের বাইরে নিজেদে অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ