প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া
Published: 4th, July 2025 GMT
আফগানিস্তানের তালেবানশাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া এ সরকাকে স্বীকৃতি দিলো। এর আগে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করলেও তালেবান সরকারের চার বছরের শাসনামলে রাশিয়াই একমাত্র দেশ যারা তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো। রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। খবর-বিবিসি
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দ্বিপাক্ষিক কার্যকর সহযোগিতার পথে গতি আনবে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা জ্বালানি, পরিবহন, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা দেখছে। সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কাবুলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।
এর আগে কাবুলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনোভের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন মুত্তাকি। সেখানে দিমিত্রি আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সরকারের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানকে জানিয়ে দেন। এই স্বীকৃতিকে মুত্তাকি ‘ইতিবাচক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, পারস্পরিক সম্মান এবং গঠনমূলক অংশীদারিত্ব’ এর সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি অন্য দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীর মুড়িপট্টিতে আগুন, পুড়লো অর্ধশত দোকান
নরসিংদীর মাধবদী বাজারের মুড়িপট্টিতে লাগা আগুনে অন্তত অর্ধশত দোকান পুড়ে গেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাধবদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রায়হান আহমেদ এ তথ্য জানান।
স্থানীয়রা জানান, মাধবদী বড় মসজিদের মাইক থেকে আগুনের কথা জানানো হয়। দ্রুত স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। মাধবদী, নরসিংদী ও পলাশ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টার দিকে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে অন্তত অর্ধশত দোকান পুড়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
কেরাণীগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ
ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে স্বর্ণ, কাপড়, ইলেকট্রনিক্স, কসমেটিকসহ বিভিন্ন দোকান পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে অন্তত ১০টি স্বর্ণের দোকান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একটি দোকানের মালিক রাসেল মিয়া বলেন, “এই দোকানটাই ছিল আমার জীবনের সব। সন্তানদের পড়ালেখা এখান থেকে চালাতাম। এখন আমি পথের ভিখারি।”
মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রায়হান আহমেদ বলেন, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। টানা কয়েক ঘণ্টা কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। কোনো প্রাণহানি হয়নি। আগুনের প্রকৃত কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ