থানায় এসআইকে ছুরিকাঘাত করা যুবকের লাশ মিলল পুকুরে
Published: 25th, July 2025 GMT
গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মারা যাওয়া যুবকের নাম সিজু মিয়া বলে দাবি করেছে পুলিশ। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ৪ জনের পাশাপাশি দাফন
গোপালগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে থানার ভেতরে ঢুকে ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। বাধা দিতে গেলে এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি। পরে দৌঁড়ে থানার পাশের বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা রাতভর খোঁজাখুঁজি করলেও হামলাকারী যুবকের সন্ধান পায়নি। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আজ সকালে পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সাঘাটা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ রতন চন্দ্র শর্মা বলেন, “রাতে খবর পাওয়ার পর আমরা হামলাকারী যুবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। আমাদের ডুবুরি দল না থাকায় রাতে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারিনি। আজ সকাল ৮টার দিকে রংপুর থেকে চারজনের একটি ডুবুরি দল এসে পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।”
সাঘাটা থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, “কী কারণে ওই যুবক এমন আত্মঘাতী কাজ করলেন, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তার পড়নের পকেট থেকে উদ্ধার করা গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি প্রবেশপত্র থেকে পরিচয় জানা গেছে। তার নাম সিজু মিয়া। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে। যুবকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, “গতকাল রাতে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী শার্ট-প্যান্ট পরিহিত দাঁড়িওয়ালা এক যুবক থানার ভেতরে ঘোরাফেরা করছিলেন। হঠাৎ তিনি কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাঁধা দিতে গেলে এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পুকুরে ঝাঁপ দেন। আজ তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র ছ র ক ঘ ত কর ন র ভ তর য বক র
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩
যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আরো পড়ুন:
বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬
বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।
তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র্যাবে কর্মরত ছিলেন।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ