কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবির প্রশাসনিক ভবনে তালা, অবরুদ্ধ উপা
Published: 6th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কম্বাইন্ড ডিগ্রির (বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি) দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৬টায় তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে টানা সাতদিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এবার তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও।
আরো পড়ুন:
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে জবিতে মানববন্ধন
৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ
এরই অংশ হিসেবে বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টায় পশুপালন অনুষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় তারা স্লোগান দেন- ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দাবি একটাই, কম্বাইন্ড ডিগ্রি চাই’, ‘এক পেশা এক ডিগ্রি, এক দাবি কম্বাইন্ড কম্বাইন্ড’।
পশুপালন অনুষদের ৫০১ জন শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে স্বাক্ষর সম্বলিত একটি তালিকা উপাচার্যের কাছে জমা দেন। একই দাবিতে পৃথকভাবে মিছিল করেছে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও। পরবর্তীতে দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে একত্রিত হয়ে একযোগে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ভেটেরিনারি অনুষদের পক্ষ থেকে অনুষদের ডিন বরাবর লিখিত স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।
বিকেল ৪টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আলোচনায় উপাচার্য বলেন, “আমি এককভাবে সম্মিলিত ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তবে আলোচনায় আশানুরূপ অগ্রগতি না থাকায় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এ সময় উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি বৈঠক চলছিল। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন।
আন্দোলনকারী এক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হয়েছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা এবং পেশাগত মর্যাদার স্বার্থেই আমরা এক হয়েছি। শিক্ষকরা আমাদের দাবি শুনেছেন, আগামীকাল আলোচনা হবে। সেখানে আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না এলে আন্দোলন আরো বেগবান হবে।”
এ বিষয়ে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, “পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির প্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফ্যাকাল্টি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসবেন এবং দাবিগুলো উপস্থাপন করা হবে। সবদিক বিবেচনায় রেখে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হয়রানির অভিযোগে দক্ষিণ বনশ্রীতে প্লটমালিকদের মানববন্ধন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে বৈধ প্লট ও বাড়ির মালিকদের হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতি। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রী মেইন রোডে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু কর্মকর্তা বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমি ও বাড়ির মালিকদের হয়রানি করছেন এবং নির্মাণকাজে বাধা দিচ্ছেন। তাঁরা দাবি করেন, খাল দখলের যে অভিযোগ সিটি করপোরেশন করছে, তা সঠিক নয়। কারণ, প্রায় ২৫ বছর আগে ইস্টার্ন হাউজিং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দলিল বিনিময়ের মাধ্যমে খালটি গ্রহণ করে প্লট তৈরি করে মালিকদের কাছে বিক্রি করে।
বক্তারা বলেন, রাজউক অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী তৈরি বাড়িগুলো অবৈধ হতে পারে না। এ ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্লটকে রাস্তা দাবি করছে। অথচ সিটি করপোরেশন ওই দাবি যাচাই না করেই রাজউক নির্ধারিত সীমানাপ্রাচীর ভাঙার চেষ্টা করছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক রফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।