নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে উল্টে পড়ে আহত ২০, এক শিশু নিখোঁজ
Published: 7th, August 2025 GMT
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস পুকুরে উল্টে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এক শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায়, শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) উদ্ধারকাজ চলমান আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে ‘আকাশ বিকাশ’ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় বাসটিতে অন্তত ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন এবং একটি শিশু নিখোঁজ আছে।
আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে নিখোঁজ শিশুটির সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নিখোঁজ শিশুটির খোঁজ চলছে। সেই সঙ্গে পুকুর থেকে বাসটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলকে হাতের খেলনা মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা। তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। একটি মহলের চক্রান্তে পড়েছেন। এভাবে চললে এ সরকারের ব্যর্থ সরকারের পরিণত হবে।’’
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল যশোর টাউন হল ময়নদানে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
‘পদ্মা বাঁচাও’ গণসামবেশে ১৫ নভেম্বর, যোগ দেবেন ফখরুল
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মির্জা ফখরুল আবার বলেন, ‘‘ঐক্যমত কমিশন আলোচনা আর খাওয়া-দাওয়া করেছেন। পূর্বে যে প্রস্তাবনা স্বাক্ষর হয়েছে, সেটাকে ভিন্নভাবে নতুন করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ সুযোগে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এ ষড়যন্ত্র জনগণ মানবে না। নির্বাচনের আগে গণভোট হবে না।’’
সভায় তিনি আরো বলেন, ‘‘অনেক রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছি। সুযোগ হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে যাওয়ার। এ সুযোগ কোনো মহলের চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কারণে বিনষ্ট হতে দিতে পারি না।’’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি। এখনো রাস্তায় নামেনি। বিএনপি এই দেশের জনগণের দল, বিএনপিকে অবজ্ঞা করে দেখবেন না। রাজপথে নামলে ফল ভালো হবে না।’’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবেন না। আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এ প্রক্রিয়া জনগণ মেনে নেবে না।’’
সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাবিরা সুলতানা, আবুল হোসেন আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় তরিকুল ইসলামের স্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল