মুক্তিপণ না পেয়ে কুমিল্লার যুবককে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা
Published: 7th, August 2025 GMT
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার রাজমিস্ত্রী সজিব হোসেনকে (৩২) অপহরণের তিন দিন পর কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী সৈকত থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে, মুক্তিপণ না পাওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উখিয়া থানার ইনানী বীচ এলাকায় সাগরের পাড় থেকে সজিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বরুড়া উপজেলার ভাউকসার গ্রামের কামাল হোসেনের েছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে চিকিৎসার জন্য সজিব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের পর সজিবের বাবা কামাল হোসেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরো পড়ুন:
শ্বাসরোধে হত্যা, শিশুর কান্না শুনে এসে সুইটির লাশ দেখতে পান প্রতিবেশীরা
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে জবিতে মানববন্ধন
ডায়েরির পর দিন অপহরণকারীরা তার বাবার ফোনে যোগাযোগ করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পরিবার মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হয়। এরপর অপহরণকারীরা সজিবকে পিটিয়ে হত্যা করে কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, “সজিব হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে ডায়েরি করা হয়েছিল। পরে মুক্তিপণের দাবিও আসে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে নিহতের বাবার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল। দলগুলো হলো-জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি, আমজনগণ পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)। ইতিমধ্যে দলগুলোকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যয় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) ‘কাঁচি’ ও আমজনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।’
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতের প্রার্থী
টাঙ্গাইলে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আ.লীগ নেতার স্লোগান
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ এর কারণ উল্লেখপূর্বক ১২ নভেম্বরের মধ্যে সচিবের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
ইসির নিবন্ধন পেতে ১৪৩টি দল আবেদন করে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ২২ দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এরপর মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তবে এনসিপি প্রতীক জটিলতা ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে জাতীয় লীগসহ ১০ দলের অধিকতর যাচাইয়ের জন্য আবার তদন্ত করে সংস্থাটি। এরপর অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই শেষে কয়েক দফা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
পুনরায় মাঠ পর্যায়ের তদন্তে যে ১০টি দলকে পাঠানো হবে সেগুলো হল-আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ