সাদনিমার বয়স তখন সাত, উত্তরায় থাকেন। বাসার সামনে হাফ স্টপ ডাউনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং চলছিল। শুটিংয়ের ফাঁকে ছোট্ট সাদনিমাকে দেখে হাফ স্টপ ডাউনের এক কর্মী বলেছিলেন, ‘তুমি কাজ করবে নাকি?’ ২০০৭ সালের সেই স্মৃতিতে ফিরে সাদনিমা বললেন, ‘তখনো জানতাম না, টিভিতে কীভাবে কাজ করে, টিভিতে কীভাবে দেখা যায়? পরে উনি আমার সঙ্গে বাসায় এসেছিলেন। মা–বাবার সঙ্গে কথা বলে যান, উনারা রাজি হন।’ দেড় মাসের ব্যবধানে অমিতাভ রেজার একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের সুযোগ পান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি, একের পর এক বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা কাজ করেছেন, এরপর কয়েক বছরের বিরতি।

সাদনিমা বিনতে নোমান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ 

বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ লোকসানের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সিনেপ্লেক্সটি বন্ধ রাখা হয়েছে।  

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেপ্লেক্সটির স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস রুবেল সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং বন্ধের কারণ জানান। 

আরো পড়ুন:

কাজাখস্তানে আফরান নিশোর ‘দম’

আশির দশকের বাংলা সিনেমা ও সিনেমাকেন্দ্রিক সমাজ

রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘‘সিনেপ্লেক্স চালাতে গিয়ে সব মিলিয়ে মাসে প্রায় তিন লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। কিন্তু সেটা তুলতে পারছি না দর্শকদের টানতে পারবে এমন সিনেমার অভাবে। 'তাণ্ডব’ সিনেমার পর আর কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি। অনেক ছবি মুক্তি পেলেও দর্শকের সাড়া মেলেনি। আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসত। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলত। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসান আর সম্ভব নয়। মূল কথা হচ্ছে, আমাদের ব্যবসা আমাদের মতো করে চালাতে দিতে হবে।’’ 

রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘‘সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আমরা আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাদের কথা আপনারা শোনেন। আমাদের কথা যদি পছন্দ হয়, ভালো লাগে; তাহলে সেটা গ্রহণ করেন। আমাদের কথা যদি অগ্রহণযোগ্য হয়, আমাদের বলে দেন; এটা হবে না। তাহলে আমরা আমাদের হল একেবারে বন্ধ করে দেব। আর যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে এটি আমরা আরো সুন্দরভাবে করব এবং আমরা কথা দেব, মধুবনের মতো আরো ২০০  সিনেপ্লেক্স আমরা বাংলাদেশে তৈরি করব।’’

‘মধুবন সিনেপ্লেক্সের’ স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘‘২০১৫ সালে শাকিব খানের ‘লাভ ম্যারেজ’ মুক্তির সময় ভাঙা চেয়ার, ছারপোকার কামড়, গরমের মধ্যেও হলভর্তি দর্শক হয়। এরপর ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ প্রদর্শনের সময় শিক্ষিত শ্রেণির দর্শকের ঢল নামে। এমন পরিবেশেও দর্শকদের আগ্রহ দেখে সিনেপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০২১ সালে বগুড়ার প্রথম সিনেপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা শুরু করে মধুবন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘মধুবন সিনেপ্লেক্সের জন্য বেলজিয়াম থেকে ‘প্রজেকশন মেশিন’ আনা হয়। আমেরিকা থেকে ‘সাউন্ড সিস্টেম’ এবং মুম্বাই থেকে ‘গ্যালালাইট মেটাল কোডেড পর্দা’ আনা হয়। সেই সিনেপ্লেক্স আজ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।’’ 

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিন্নি চালের পিঠার রেসিপি
  • বগুড়া আদালত চত্বর থেকে পালালেন জোড়া হত্যা মামলার আসামি
  • ফেনীতে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, চালকের সহকারী নিহত
  • ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ এখন রড-সিমেন্টের কারবারি
  • পাঁচ বছর পর সিপিএলে পঞ্চম শিরোপা জিতল নাইট রাইডার্স
  • পাবনায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বেড়াবাসীর বিক্ষোভ
  • ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া
  • রাজশাহীতে মাদ্রাসায় দফায় দফায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
  • এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
  • লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ