বাংলাদেশে ফিরছেন টনি হেমিং, গামিনির কী হবে
Published: 7th, August 2025 GMT
বাংলাদেশে ফিরছেন কিউরেটর টনি হেমিং। বিসিবির প্রতি অভিমানে গত বছর চুক্তির মাঝপথে চাকরি ছেড়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই অভিজ্ঞ কিউরেটর। পিসিবির প্রধান কিউরেটরের দায়িত্ব ছেড়ে দুই বছরের চুক্তিতে আবার তিনি বিসিবিতে ফিরছেন বলে জানিয়েছে বোর্ডের একটি সূত্র।
জানা গেছে, এবার বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে যোগ দেবেন হেমিং। তিনিই দেশের সব আন্তর্জাতিক ভেন্যু দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া বিসিবির নিয়োগ দেওয়া চারজন মৃত্তিকাবিজ্ঞানী এবং অন্য কিউরেটরদেরও প্রশিক্ষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুনবিসিবির চাকরি ছেড়ে পিসিবিতে কিউরেটর টনি হেমিং১৬ জুলাই ২০২৪চাকরি ছাড়ার পর বিসিবির সমালোচনা করেছিলেন হেমিং। তখন বাংলাদেশে কাজ করা শ্রীলঙ্কান ‘সিন্ডিকেট’ নিয়েও নিজের অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বিসিবির দাবি ছিল, তখন কাজের সুযোগ কম ছিল বলে চলে গিয়েছিলেন হেমিং। এখন তাঁকে বড় দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সঙ্গে উইকেট নিয়ে কথা বলছেন লিটন দাস।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে ঢাবিকে কলঙ্কিত করেছে শিবির, বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে জাতির গৌরবময় ইতিহাসকে ইসলামী ছাত্রশিবির বিকৃত করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন হিসেবে ক্যাম্পাসে শিবিরের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি তামজিদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রক্টরের অপসারণ দাবি করেছে সংগঠনটি।
ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, ’৯০–এর সামাজিক চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক-ফ্যাসিস্ট সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লজ্জভাবে শিবিরকে নরমালাইজ করার চেষ্টা করেছে। ঢাবি প্রক্টরের পক্ষপাতমূলক আচরণ শিবিরের এই জঘন্য কাজকে উৎসাহিত করেছ। তাঁর এ রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ আগামী দিনের সহাবস্থানের রাজনীতি তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঢাবি প্রক্টর ক্যাম্পাসের ভেতরে তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক গ্রাফিতি মুছে ফেলা, চারুকলার ভেতরে ঢুকে শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়া, একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আমলে না নেওয়াসহ নানা অভিযোগের সুষ্ঠু বিচারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অতএব ঢাবি প্রক্টরকে অপসারণ না করলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মতোই শিবিরের দলীয় আধিপত্য কায়েম হবে।’
চব্বিশের নাম দিয়ে একাত্তরকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্রশিবির জুলাই গণ–অভ্যুত্থান পরিপন্থী অবস্থান নিয়েছে বলে বলা হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পুর্নবাসনের সুযোগ পেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী গণহত্যকারীদের উদ্যাপনের চেষ্টা গণ–অভ্যুত্থানকে জনতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করার অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। এর আগেও ছাত্রশিবির মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করে তাদের নিজস্ব প্রকাশনায় বিতর্কিত লেখা ছেপে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’