মাদারীপুরের শিবচরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মমিনউদ্দীন খান (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) উপজেলা বন্দরখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মমিনউদ্দীন খান উপজেলার চর বাচামারা এলাকার মৃত সোনামদ্দিন খানের ছেলে। শিবচর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মমিন উদ্দিন বন্দরখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় ওষুধ ব্যবসায়ী নিহত

চাঁদপুরে পিকআপ চাপায় ২ বন্ধু নিহত

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় হাইওয়ে পুলিশ আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

চীনে আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে দুটি ব্রোঞ্জ পেল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াডের (আইওএআই) দ্বিতীয় আসরে দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ। চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিয়াডে বিশ্বের ৭৩টি দেশের ৮৬টি দল অংশ নেয়।

এবারের অলিম্পিয়াড শুরু হয় ২ আগস্ট। এরপর ৫ ও ৬ আগস্ট দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সমাপনী পর্বে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রিয়াসাত ইসলাম ও সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরেফিন আনোয়ার। নটর ডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন পেয়েছে ‘অনারেবল মেনশন’। চার সদস্যের দলের অপর সদস্য নটর ডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবরার শহীদ।

বেইজিং থেকে বাংলাদেশ দলের দলনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, বিশ্বমঞ্চে নিজের দেশকে সম্মানিত করতে পারার মতো আনন্দের তুলনা হয় না। অলিম্পিয়াড জগতে বাংলাদেশকে এখন সবাই চেনে, সমীহ করে। তিনি বলেন, ‘এবারের অলিম্পিয়াডে আমাদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যই সবচেয়ে ভালো করেছে। এতে বোঝা যায় যে আমাদের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।’

বাংলাদেশ দলের কনিষ্ঠ সদস্য রিয়াসাত ইসলাম বলে, ‘আইওএআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ মেডেল পেয়ে আমি খুবই খুশি। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটাই ছিল আমার কাছে সার্থকতা। এবারের প্রশ্নগুলো সহজ ছিল না, কিন্তু আমাদের চেষ্টার কারণে আমরা সমাধান করতে পেরেছি।’ আরেক সদস্য আরেফিন আনোয়ার বলে, ‘প্রথমত ভালো তো লাগছেই, মেডেল পেয়ে। এ বছর আইওএআই ছিল অন্য রকম—আয়োজন ও প্রতিযোগিতা দুটোই।’

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির উপাচার্য এ বি এম শওকত আলী বলেন, ‘পুরো বিশ্ব যেখানে এআইয়ের ওপর ভর করে চলা শুরু করেছে, সেখানে আজকের খবরটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও আনন্দদায়ক। গৌরবময় অর্জনের এই যাত্রার শুরু থেকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজি থাকতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছে।’

বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক রেভ চ্যাটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল হাসান প্রতিযোগীদের, তাঁদের মেন্টরসহ বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের কিশোরদের এই সফলতা সবাইকে উজ্জীবিত করেছে।’

এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্রোঞ্জপদকজয়ী আরেফিন আনোয়ার (বাঁয়ে) ও রিয়াসাত ইসলাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ