জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে বন্দুকধারীদের সঙ্গে প্রচণ্ড গোলাগুলিতে দুই ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাতভর চলা গুলোগুলিতে আরো দুই সেনা আহত হয়েছেন, যার ফলে মোট আহতের সংখ্যা ১০ জনে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের ঘন বনাঞ্চলে ‘সন্ত্রাসীরা’ বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি ‘সন্ত্রাসবাদী’ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘতম সংঘর্ষের একটি।

আরো পড়ুন:

বোয়ালমারীতে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭

কলেজ মাঠের পানি নিষ্কাশন নিয়ে শিক্ষক-স্থানীয়দের সংঘর্ষ

দেশটির সেনাবাহিনী এক্স এ একটি পোস্টে বলেছে, “ল্যান্সনায়েক প্রীতপাল সিং ও সিপাহি হরমিন্দর সিংয়ের আত্মত্যাগ স্মরণীয়। তাদের সাহস ও নিষ্ঠা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য অনুপ্রেরণা। ভারতীয় সেনাবাহিনী শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।”

এনডিটিভি জানায়, সন্ত্রাসীরা বনাঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে অভিযান চালাতে শত শত সেনা অংশ নিচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোন ও আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার ব্যবহার সন্ত্রাসীদের নিশানা করছে। শনিবার নবম দিনের মতো অভিযান চলছে। 

কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক নলিন প্রভাত বলেন, “কঠিন ভূপ্রকৃতি ও বনাঞ্চলের কারণে অভিযান সময় নিচ্ছে, তবে আমরা তাদের অবশ্যই ধরব।”

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এআই দাবা প্রতিযোগিতায় মাস্কের গ্রোককে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ওপেনএআই

বিশ্বের সেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দাবাড়ু নির্ধারণে আয়োজিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। ফাইনালে তারা হারিয়েছে ইলন মাস্কের এআই মডেল গ্রোক ৪–কে।

দাবা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটারের সক্ষমতা যাচাইয়ের অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক দাবা সফটওয়্যার এখন বিশ্বের সেরা মানব-দাবাড়ুকেও অনায়াসে হারাতে পারে। তবে এবারের প্রতিযোগিতা ছিল ভিন্নধর্মী। এখানে অংশ নেওয়া এআই মডেল বিশেষভাবে দাবার জন্য তৈরি নয়। সাধারণত এগুলো নিত্যদিনের নানা কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা ওপেনএআইয়ের ওথ্রি মডেল ফাইনালে মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের গ্রোক ৪–কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে। এই জয় দুই প্রতিষ্ঠানের চলমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও উসকে দিয়েছে।

ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান ও ইলন মাস্ক দুজনই দাবি করে আসছেন, তাঁদের সর্বশেষ এআই মডেলই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুগলের মডেল জেমিনি। ওপেনএআইয়ের আরেকটি মডেলকে হারিয়ে এই অবস্থান অর্জন করেছে জেমিনি। চেজ ডটকমের প্রতিবেদক পেদ্রো পিনহাতা বলেন, ‘সেমিফাইনাল পর্যন্ত মনে হয়েছিল, গ্রোক ৪–কে থামানোর মতো কেউ নেই। কিছু দুর্বল মুহূর্ত থাকলেও এক্সএআইয়ের এআই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী দাবাড়ু। কিন্তু শেষ দিনের খেলায় সেই ধারণা ভেঙে যায়। ফাইনালে গ্রোকের ‘ভুলভরা’ খেলার সুযোগ নিয়ে ওথ্রি টানা কয়েকটি নিশ্চিত জয় তুলে নেয়।

দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরা তাঁর সরাসরি সম্প্রচারে মন্তব্য করেন, গ্রোক অনেক ভুল করেছে, কিন্তু ওপেনএআই একটিও করেনি।

এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে গুগলের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম ক্যাগলে। এ প্ল্যাটফর্মে ডেটা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাঁদের সিস্টেম পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেন। তিন দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় আটটি বড় ভাষা মডেল, অ্যানথ্রপিক, গুগল, ওপেনএআই, এক্সএআই ছাড়াও চীনের ডিপসিক ও মুনশট এআই। এআই ডেভেলপাররা সাধারণত ‘বেঞ্চমার্ক’ পরীক্ষা ব্যবহার করে মডেলের যুক্তি প্রয়োগ, কৌশল নির্ধারণ বা প্রোগ্রামিং দক্ষতা যাচাই করেন। দাবার মতো জটিল, নিয়মনির্ভর কৌশলভিত্তিক খেলা এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় মডেলের লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা পরিমাপের জন্য। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে হারিয়ে জয়লাভ।

গুগলের এআই ল্যাব ডিপমাইন্ডের তৈরি ‘আলফাগো’ ২০১০–এর দশকের শেষ দিকে মানব গো চ্যাম্পিয়নদের একের পর এক হারিয়ে আলোচনায় আসে।  ডিপমাইন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যার ডেমিস হাসাবিস নিজেও একসময় ছিলেন দাবার বিস্ময় প্রতিভা। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালে আইবিএমের সুপারকম্পিউটার ‘ডিপ ব্লু’ তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভকে হারিয়ে প্রযুক্তি–দুনিয়ায় সাড়া ফেলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ