পিরোজপুরে চাঁদাবাজির মামলায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 9th, August 2025 GMT
চাঁদাবাজির মামলায় পিরোজপুর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মারুফ হাসান ওরফে মারুফ পোদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে যৌথ বাহিনী মারুফের মালিকানাধীন পিরোজপুর শহরের আবাসিক হোটেল ‘বিলাস’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পিরোজপুর সদর থানায় জুয়েল শেখ নামের এক বালু ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম। ওই মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, পিরোজপুর শহরের বলেশ্বর এলাকার বালু ব্যবসায়ী জুয়েল ও রিপনের কাছে কিছু দিন ধরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল মারুফ। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাদের মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা বিষয়টি বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়দের জানালে মারুফ তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ৫ আগস্ট দুপুরে মারুফের নেতৃত্বে মিরন ও মিলনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন চাইনিজ কুড়াল, দা, লাঠি, হকিস্টিক, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ বলেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন জুয়েলের মালিকানাধীন মেসার্স রুমু এন্টারপ্রাইজের অফিসের সামনে গিয়ে তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় হকিস্টিক দিয়ে জুয়েলকে পেটানো হয়। এ সময় তার ব্যবসায়িক সহযোগী রিপন তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে মারুফ ও তার সহযোগীরা তাকেও মারধর করে। জুয়েল দৌড়ে তার অফিসের মধ্যে গেলে হামলাকারীরা অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জুয়েলকে হাত-পা বেঁধে পেটায়। জুয়েলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় যুবদল ১০ আগস্ট মারুফ হাসানকে পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করে।
ঢাকা/তাওহিদুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
এআই দাবা প্রতিযোগিতায় মাস্কের গ্রোককে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ওপেনএআই
বিশ্বের সেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দাবাড়ু নির্ধারণে আয়োজিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। ফাইনালে তারা হারিয়েছে ইলন মাস্কের এআই মডেল গ্রোক ৪–কে।
দাবা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটারের সক্ষমতা যাচাইয়ের অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক দাবা সফটওয়্যার এখন বিশ্বের সেরা মানব-দাবাড়ুকেও অনায়াসে হারাতে পারে। তবে এবারের প্রতিযোগিতা ছিল ভিন্নধর্মী। এখানে অংশ নেওয়া এআই মডেল বিশেষভাবে দাবার জন্য তৈরি নয়। সাধারণত এগুলো নিত্যদিনের নানা কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা ওপেনএআইয়ের ওথ্রি মডেল ফাইনালে মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের গ্রোক ৪–কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে। এই জয় দুই প্রতিষ্ঠানের চলমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও উসকে দিয়েছে।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান ও ইলন মাস্ক দুজনই দাবি করে আসছেন, তাঁদের সর্বশেষ এআই মডেলই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুগলের মডেল জেমিনি। ওপেনএআইয়ের আরেকটি মডেলকে হারিয়ে এই অবস্থান অর্জন করেছে জেমিনি। চেজ ডটকমের প্রতিবেদক পেদ্রো পিনহাতা বলেন, ‘সেমিফাইনাল পর্যন্ত মনে হয়েছিল, গ্রোক ৪–কে থামানোর মতো কেউ নেই। কিছু দুর্বল মুহূর্ত থাকলেও এক্সএআইয়ের এআই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী দাবাড়ু। কিন্তু শেষ দিনের খেলায় সেই ধারণা ভেঙে যায়। ফাইনালে গ্রোকের ‘ভুলভরা’ খেলার সুযোগ নিয়ে ওথ্রি টানা কয়েকটি নিশ্চিত জয় তুলে নেয়।
দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরা তাঁর সরাসরি সম্প্রচারে মন্তব্য করেন, গ্রোক অনেক ভুল করেছে, কিন্তু ওপেনএআই একটিও করেনি।
এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে গুগলের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম ক্যাগলে। এ প্ল্যাটফর্মে ডেটা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাঁদের সিস্টেম পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেন। তিন দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় আটটি বড় ভাষা মডেল, অ্যানথ্রপিক, গুগল, ওপেনএআই, এক্সএআই ছাড়াও চীনের ডিপসিক ও মুনশট এআই। এআই ডেভেলপাররা সাধারণত ‘বেঞ্চমার্ক’ পরীক্ষা ব্যবহার করে মডেলের যুক্তি প্রয়োগ, কৌশল নির্ধারণ বা প্রোগ্রামিং দক্ষতা যাচাই করেন। দাবার মতো জটিল, নিয়মনির্ভর কৌশলভিত্তিক খেলা এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় মডেলের লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা পরিমাপের জন্য। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে হারিয়ে জয়লাভ।
গুগলের এআই ল্যাব ডিপমাইন্ডের তৈরি ‘আলফাগো’ ২০১০–এর দশকের শেষ দিকে মানব গো চ্যাম্পিয়নদের একের পর এক হারিয়ে আলোচনায় আসে। ডিপমাইন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যার ডেমিস হাসাবিস নিজেও একসময় ছিলেন দাবার বিস্ময় প্রতিভা। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালে আইবিএমের সুপারকম্পিউটার ‘ডিপ ব্লু’ তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভকে হারিয়ে প্রযুক্তি–দুনিয়ায় সাড়া ফেলে।