সিলেটে নৌকা ডুবে বিজিবি সদস্য নিখোঁজ
Published: 9th, August 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাটে নৌকা ডুবে এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার সদর ও পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মধ্যবর্তী পন্নগ্রাম নামক স্থানে পিয়াইন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের নাম মাসুম বিল্লাহ (৩৫)। তিনি সোনারহাট ক্যাম্পে সিপাহী পদে কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিয়াইন নদীতে ভারতীয় পণ্যবাহী একটি নৌকা দেখতে পেয়ে দুই বিজিবি সদস্য নৌকাটি ধরতে যান। এ সময় ধাক্কা খেয়ে দুটি নৌকাই ডুবে যায়। পরে নৌকায় থাকা এক বিজিবি সদস্য ও পণ্যবাহী নৌকার মাঝি কোনোভাবে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন মাসুম বিল্লাহ। পরে দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাসহ ৮ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, ১১ নারী আটক
স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের খোঁজ মেলেনি।’’
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা বিজিবি সদস্যকে উদ্ধারে চেষ্টা করছেন।’’
বিজিবি-৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
ঢাকা/নূর/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।