আফ্রিকার দেশ চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী নেতা সুচেস মার্সাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশে বর্ণবাদী এবং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচারের জন্য তাঁকে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত।

বাদীর আইনজীবী কাদজিলেমবে ফ্রান্সিস গতকাল শনিবার রাজধানী এনজামিনায় আদালত থেকে সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন মার্সা।

তাঁর মক্কেলের সুনাম ক্ষুণ্ন করা এবং অকারণে অপমান করার জন্য এমনটা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ফ্রান্সিস।

চাদে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সুচেস মার্সা। তিনি দেশটির সংস্কারপন্থী ট্রান্সফরমার্স পার্টির প্রধান। সেই সঙ্গে মার্সা দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাহামাত ডেবির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোগোন অক্সিডেন্টালে পশুপালক ও কৃষকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে মার্সাসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাঁরা বেশির ভাগ একই নাগামবায়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ওই ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও আরও ৬ জন আহত হয়েছিলেন।

মার্সা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর মধ্যে ঘৃণামূলক বক্তব্য, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ ও হত্যাযজ্ঞে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

গতকাল আদালত ছেড়ে যাওয়ার আগে নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় মার্সা তাঁদের ‘মনোবল শক্ত রাখতে’ বলেছেন। দিনের শেষে সমর্থকদের ‘বিশেষ বার্তা’ দেওয়ার কথা তাঁর।

২০২২ সালে তাঁর অনুসারীদের ওপর রক্তক্ষয়ী দমন–পীড়নের পর মার্সা দেশ ছেড়েছিলেন। গত বছর সাধারণ ক্ষমার নিশ্চয়তা পেয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

একই বছর মাহামাত ডেবির বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নামেন মার্সা। নির্বাচনে ৬১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন ডেবি।

জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ভোটের ফল প্রত্যাখান করেন মার্সা। যদিও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ডেবির সঙ্গে পুনর্মিলন চুক্তি করেন মার্সা। এর আওতায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ শট র হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ