দেশের ৬টি বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিক্ষোভের মুখে চট্টগ্রামের পটিয়ায় অন্তত ২০টি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পটিয়ায় সব ব্যাংকের এটিএম বুথও অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যাংক ও এটিএম বুথে সেবা নিতে আসা মানুষেরা। আজ রোববার সকাল নয়টা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল–আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর অধিকাংশই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বেশ কিছু দিন ধরে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাঁরা আজ পটিয়ায় সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বিনা নোটিশে, বিনা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাতটায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পটিয়া আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে জড়ো হন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে সেখান থেকে সকাল নয়টার দিকে পটিয়ায় অবস্থিত সব ব্যাংকের শাখার সামনে একযোগে অবস্থান নেন তাঁরা। তাঁদের বাধার মুখে ব্যাংকগুলোয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতা ঢুকতে পারেননি। এসব ব্যাংকের মধ্যে ৬টি সরকারি ও ১৪টি বেসরকারি। বেলা সাড়ে ১১টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলছিল।

জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় আজ গ্রাহকের চাপ বেশি। অনেক গ্রাহক সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই তাঁদের ফোন দিচ্ছেন। তবে আন্দোলনকারীরা অবরোধ করে রাখায় তাঁরা সেবা দিতে পারছেন না।

আন্দোলনকারীদের একজন শিবলু আলম। তিনি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চুয়াডাঙ্গা শাখার ক্যাশ অফিসার ছিলেন। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অন্যদের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

পটিয়ায় বেসরকারি ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান। আজ বেলা ১১টায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত কর চ কর চ য ত ক কর মকর ত ব সরক র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ