গাজীপুরের শ্রীপুরে জুলাই যোদ্ধার নামের তালিকা সংশোধনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ মোড় এলাকায় শতাধিক লোকজন এই কর্মসূচি শুরু করেন। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় আধঘণ্টা পর তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে শতাধিক লোকজন ‘ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ মোড়ে এসে অবস্থান নেন। সেখানে তাঁরা জুলাই যোদ্ধার তালিক সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। একপর্যায়ে সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। বেলা একটার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে নিলয় মৃধা নামের একজন বলেন, ‘শ্রীপুরে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। খেয়ালখুশি মতো অনেককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেকে আন্দোলনে না গিয়ে বিভিন্ন সময় অন্য কারণে আহত হয়েছেন। বর্তমানে জুলাই যোদ্ধার তালিকায় ৪২ জনের নাম আছে। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভুয়া লোকজনের নাম বাদ দিতে হবে এবং প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। আমি উপস্থিত হয়ে তাঁদের বুঝিয়েছি। পরে তাঁরা সড়ক ছেড়ে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের দিকে গেছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫-০ গোলে জিতে বিশ্ব রেকর্ড, আধঘণ্টা পরই হাতছাড়া

রেকর্ড মানেই ভাঙা-গড়ার খেলা। অনেক রেকর্ড যুগের পর যুগ টিকে থাকে, আবার অনেক রেকর্ড ভেঙে যায় কয়েক ঘণ্টাতেই। ১৮৮৫ সালে ১২ সেপ্টেম্বর ফুটবলের এক বড় রেকর্ড হাতবদল হয়েছিল আধঘণ্টার মধ্যেই।

স্কটিশ কাপের প্রথম রাউন্ডে এবারডিন রোভার্সকে ৩৫-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে সবচেয়ে বড় জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল ডান্ডি হার্প। এই ম্যাচর শুরু আধঘণ্টা পর আরেক ভেন্যুতে শুরু হয়েছিল একই টুর্নামেন্টের আরব্রথ ও বন অ্যাকর্ড ক্লাবের ম্যাচ। বন অ্যাকর্ডকে ৩৬-০ গোলে হারিয়ে হার্পের রেকর্ড কেড়ে নেয় আরব্রথ।

ওই দুই ম্যাচে গোলের হিসাব রাখতে হিমশিম খেয়েছেন রেফারিরা। রেফারির হিসাবে হার্পের গোলসংখ্যা ছিল ৩৭। তবে হার্পের এক কর্মকর্তা রেফারিকে বলেন, তাঁরা আসলে ৩৫ গোল দিয়েছেন, তাঁর কাছে সেই হিসাব আছে। রেফারি সেটি মেনেই ৩৫-০ করেন চূড়ান্ত স্কোর। ওই কর্মকর্তা তখন যদি জানতেন, আধঘণ্টাও টিকবে না তাঁদের রেকর্ড, গোলসংখ্যা কমাতেন কি না, কে জানে!

৩৬ গোল দিয়ে রেকর্ড গড়া আরব্রথ অবশ্য দাবি করেছিল, তারা আরও বড় ব্যবধানে জিতেছে, রেফারি অন্যায়ভাবে ৭টি গোল হিসাব থেকে বাদ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনএনএফএলের দলের নাম কীভাবে বেঙ্গলস হলো৩১ অক্টোবর ২০২৫

আরব্রথের বিশ্ব রেকর্ডটা টিকে ছিল ১১৭ বছর। ২০০২ সালে মাদাগাস্কারের ঘরোয়া ফুটবলে এএস আদেমা ১৪৯-০ গোলে হারায় এসও আই’এমিরনেকে।

নিজেদের আগের ম্যাচে রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে গোল খেয়ে ড্র করে শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছিল আই’এমিরনে। সেটির প্রতিবাদেই পরের ম্যাচে নিজেদের জালেই ১৪৯টি আত্মঘাতী গোল দেয় আই’এমিরনে।

আরও পড়ুনলিলির হাতে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যাট, টেস্টে ধাতব যুগের ঝলক২৪ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৫-০ গোলে জিতে বিশ্ব রেকর্ড, আধঘণ্টা পরই হাতছাড়া