দেব আনন্দর স্বপ্ন সেদিন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল
Published: 10th, August 2025 GMT
বলিউডের স্বর্ণযুগের তারকাদের একজন দেব আনন্দ। অভিনয়, স্টাইল, ব্যক্তিত্ব—সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে আলোচিত তারকাদের একজন। রোমান্টিক হিরো থেকে শুরু করে প্রযোজক ও পরিচালক—সব ভূমিকাতেই তিনি ছিলেন সাহসী ও নির্ভীক। তবে তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের মধ্যেও এমন এক সময় এসেছে, যখন জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নের ছবি তাঁকে আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ নিঃস্ব করে দিয়েছিল।
ঘটনাটি ১৯৭৪ সালের। শাবানা আজমি, জিনাত আমান, কবির বেদি, জারিনা ওয়াহাব, জীবনসহ তারকা অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নিজের পরিচালনায় দেব আনন্দ বানালেন ‘ইশক ইশক ইশক’। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন আর ডি বর্মন। এটি ছিল দেব আনন্দের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রজেক্ট, যেখানে প্রযোজনার পুরো খরচই এসেছিল তাঁর নিজের পকেট থেকে। কিন্তু মুক্তির পর বক্স অফিসে ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়ে।
সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে এসে পরিচালক শেখর কাপুর, যিনি সম্পর্কে দেব আনন্দের আপন ভাগনে, স্মৃতিচারণা করলেন সেই সময়ের কথা।
দেব আনন্দ। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ব আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে