গাজীপুরে সাবেক সিভিল সার্জন হাফিজুর রহমান খানের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের হামলায় এসময় আহত হন তিনজন। 

শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কলমেশ্বর এলাকার ওই বাড়িতে ডাকাতি হয়। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‍“এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” 

আরো পড়ুন:

পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের সন্ধান মেলেনি

বিএনপির ব্যানারের নিচে বসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, যুবক গ্রেপ্তার

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জন ডাকাত সীমানাপ্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বাড়ির মূল দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কেয়ারটেকার হিজবুল্লাহকে মারধর করে। তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ডাকাতরা দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে।

সেখানে তারা চিকিৎসক হাফিজুর রহমানের স্ত্রীর গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ দুই লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ছয়টি মোবাইল ও তৈজসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের হামলায় কেয়ারটেকারসহ তিনজন আহত হন। 

গাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ