গাজীপুরের শ্রীপুরের পল্লীবিদ্যুৎ মোড় এলাকায় জুলাই যোদ্ধাদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বঞ্চিতরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি করে, দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী।

পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা সমাধানের আশ্বাস দেয়। আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন:

শ্রমিকদের সড়ক জিম্মির খেলা বন্ধের আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে বরিশালের সড়কে জুমার নামাজ আদায়

বিক্ষোভকারীদের একজন নিলয় মৃধা জানান, শ্রীপুরে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা ত্রুটিপূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে। তালিকায় অনেককেই ইচ্ছামতো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের নাম বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনে না গিয়েও যাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিলেন, তাদের নামও তালিকায় আছে।

তিনি দাবি করেন, তালিকায় থাকা ৪২ জনের নাম যাচাই-বাছাই করে ভূয়া নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর তারা অবরোধ তুলে নেন। এজন্য যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”

ঢাকা/রফিক/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শিক্ষকের বাড়িতে চুরি, ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত মালামাল

বন্দরের সর্বত্রই চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনকহারে। এক শ্রেণীর পেশাদার চোর দীর্ঘ দিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগসূত্রে জানা যায়।

অতি সম্প্রতি (২৭ অক্টোবর) বন্দরের বাবুপাড়া গৌপীনাথ বন্দর সংলগ্ন ৫তলার বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়ার ঘরের তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত নগদ ১লাখ ১০ হাজার টাকা ও ১০ লক্ষাধিক মূল্যেও ৪ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় শিক্ষক আলাউদ্দিন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অদ্যাবধি লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার কিংবা চোরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান,বিষয়টি নিয়ে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তাকে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেয়া হয়েছে তিনি কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর কয়েক বছর আগেও একই এলাকার ডাঃ বিমল চন্দ্র ঘোষের ঘর থেকে একই কায়দায় ৬ভরি স্বর্ণের অলংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা। সে সময় পুলিশের গফিলতির কারণে ওই ঘটনার কোন অগ্রগতি হয়নি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ