তুরস্কের বসফরাস প্রণালির মসজিদের আদলে হবে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা
Published: 10th, August 2025 GMT
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক তুরস্কের বসফরাস প্রণালির পাশে যে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আছে, সেটির আদলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদকেন্দ্রিক একটি ইসলামি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। ভবনটি হবে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং এখানে বহুমুখী কাজ করা হবে। এখানে অনাথ–এতিমদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা, মাদ্রাসাশিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশনও থাকবে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ পরিদর্শন ও মোতোয়ালিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ধর্ম উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, পাগলা মসজিদের প্রতি মানুষের ভক্তি–শ্রদ্ধা আছে। জেলা প্রশাসনের আওতায় এখানে একটি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স হবে। এই মসজিদের বর্তমান আয়তন ৫ দশমিক ৫ একর। ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক ভবনের জন্য আরও কিছু জায়গা কেনা হবে। এই মুহূর্তে পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে মানুষের দানের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা জমা আছে। ইতিমধ্যে মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য নকশা জমা দিয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কার্যাদেশ দেবে এবং কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই মসজিদের আধুনিক ভবন নির্মাণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটি স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি গড়ে ওঠে। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন। টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার দান করেন অনেকে। দানের এসব টাকায় এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক স্থাপনা নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন লোকজন।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা। এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুর ১২টায় তিনি আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া আয়োজিত ‘ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ র মসজ দ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কের বসফরাস প্রণালির মসজিদের আদলে হবে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক তুরস্কের বসফরাস প্রণালির পাশে যে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আছে, সেটির আদলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদকেন্দ্রিক একটি ইসলামি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। ভবনটি হবে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং এখানে বহুমুখী কাজ করা হবে। এখানে অনাথ–এতিমদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা, মাদ্রাসাশিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশনও থাকবে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ পরিদর্শন ও মোতোয়ালিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ধর্ম উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, পাগলা মসজিদের প্রতি মানুষের ভক্তি–শ্রদ্ধা আছে। জেলা প্রশাসনের আওতায় এখানে একটি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স হবে। এই মসজিদের বর্তমান আয়তন ৫ দশমিক ৫ একর। ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক ভবনের জন্য আরও কিছু জায়গা কেনা হবে। এই মুহূর্তে পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে মানুষের দানের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা জমা আছে। ইতিমধ্যে মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য নকশা জমা দিয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কার্যাদেশ দেবে এবং কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই মসজিদের আধুনিক ভবন নির্মাণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটি স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি গড়ে ওঠে। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন। টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার দান করেন অনেকে। দানের এসব টাকায় এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক স্থাপনা নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন লোকজন।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা। এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুর ১২টায় তিনি আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া আয়োজিত ‘ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।