একাদশে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, পছন্দ সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ
Published: 11th, August 2025 GMT
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিতে ১ম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আবেদনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। ওই দিন রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন ছিল আজ সোমবার, ১১ আগস্ট। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে আগের সূচি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। নির্বাচিতদের ফল প্রকাশের পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এর আগে গত ২৪ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না (ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে)। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুনএসএসসিতে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ: ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-৫ পেল ২৮৬, ফেল থেকে পাস ২৯৩১০ আগস্ট ২০২৫অনলাইনে আবেদন যেভাবে—অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করা হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। এ ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা করবে।
গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে হবে—বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুনগ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ স্কলারশিপ৩ ঘণ্টা আগেতিন ধাপে আবেদন ও ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস কবে—প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন ছিল ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এখন চারদিন সময় বৃদ্ধি করা হলো। এখন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে প্রকাশ হবে। এরপর আরও দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চয়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করা হবে।
আরও পড়ুনঅবহেলায় শিক্ষা খাত, সংস্কারে কমিশনও করা হয়নি ২ ঘণ্টা আগেকলেজে ভর্তি ফি কত—ভর্তির সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার, জেলায় দুই হাজার ও উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় দেড় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, সেটি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর বাদে অন্যান্য মহানগর এলাকায় বাংলা ভার্সনে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বল এলাকায় বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: ইকিউ কোটায় সুযোগ যাদের১৮ ঘণ্টা আগেমেধা কোটা যেভাবে নির্ধারণ—নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
*একাদশে ভর্তি নীতিমালা দেখুন এখানে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ল প রক শ এল ক য় পর য য় র ভর ত পর ক ষ প রব ন শ আসন প রথম আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট বোর্ডে এসএসসিতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেল ২২ জন
সিলেট শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের (উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ) ফলাফলে নতুন করে ২২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে উওীর্ণ হয়েছেন আরো ৩০ জন।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ফলাফলে দেখা গেছে, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের জন্য সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৭ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন করে উত্তীর্ণ হয়েছেন আরো ৩০ জন। পাশাপাশি জিপিএ-৫ পেয়েছন আরো ২২ জন পরীক্ষার্থী। উত্তরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এমন পরিবর্তন এসেছে।
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন
শাবিপ্রবিতে ‘অধিকার সচেতন’ শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
সিলেট শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও অকৃতকার্য মিলিয়ে ১৭ হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থী ৩৪ হাজার ৯২০ পত্রের জন্য পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন।
পুনঃনিরীক্ষণে নতুন করে ৩০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় মোট পাসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ১২১ জন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই ঘোষিত মূল ফলাফলে সিলেট বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ২ হাজার ২১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ হাজার ৯১ জন পাস করেছিলেন।
সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “পুনঃনিরীক্ষণ মানে একজন শিক্ষার্থীর খাতা নতুন করে মূল্যায়ন নয়। এখানে উত্তরপত্রের চারটি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এগুলো হলো, সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা সঠিক আছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে সঠিকভাবে উঠেছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কি না। এই চারটি জায়গায় কোনো ভুল পাওয়া গেলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।”
ঢাকা/নুর/মেহেদী