Prothomalo:
2025-11-17@09:51:52 GMT

সৌরজগতের শেষ সীমানায় কী আছে

Published: 11th, August 2025 GMT

সৌরজগৎ বলতে আমরা অনেকেই শুধু সূর্য ও তার চারপাশে ঘূর্ণমান আটটি গ্রহের সমষ্টিকে বুঝি। তবে সৌরজগৎ মূলত গ্রহ, উপগ্রহ, বামন গ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু ও আন্তগ্রহ ধূলিকণার এক বিশাল পরিবার। সৌরজগতের প্রতিটি অঞ্চলেরই আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তাই আমাদের সৌরজগতের শেষ সীমানা কোথায় বা সেখানে কী আছে তা জানতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার পৃথিবী থেকে প্রায় ২০০ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাসার মহাকাশযান ‘ভয়েজার’ সৌরজগতের প্রায় শেষ সীমানায় থাকা অদ্ভুত এলাকার সন্ধান দিয়েছে। এলাকাটির তাপমাত্রা ৫০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগুনের কোনো উৎস ছাড়াই ভীষণ উত্তপ্ত এলাকাটি। নতুন এই আবিষ্কার পূর্ববর্তী অনেক অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করছে। মহাকাশযানটি আন্তনাক্ষত্রিক ও সৌর এলাকার মধ্যে সংযুক্ত চৌম্বকক্ষেত্রও আবিষ্কার করেছে। এই ক্ষেত্র সূর্যের প্রভাব ও ছায়াপথের চুম্বকীয় কাঠামো সম্পর্কে নতুন অনুসন্ধানের সূত্রপাত করেছে।

১৯৭৭ সালে উৎক্ষেপণ করা নাসার ভয়েজার ১ ও ভয়েজার ২ মহাকাশযান সৌরজগতের প্রান্তের বাইরে একটি উচ্চ-তাপমাত্রার অঞ্চল চিহ্নিত করেছে। বিজ্ঞানীরা এখন এই অঞ্চলটি নিয়ে গবেষণা করছেন। অঞ্চলটির নাম দেওয়া হয়েছে আগুনের দেয়াল বা ফায়ারওয়াল। এটি সৌরজগতের সীমানা ও আন্তনাক্ষত্রিক সৌর এলাকার মধ্যে চুম্বকীয় সংযোগ সম্পর্কে একটি নতুন ধারণা দিচ্ছে।

সৌরজগতের শেষ কোথায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। কেউ কেউ নেপচুনের পরে সীমানা শেষ হওয়ার কথা জানালেও অনেকে ওর্ট ক্লাউডের দিকে ইঙ্গিত করেন। দূরবর্তী এই অঞ্চলে অনেক ধূমকেতু রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। নাসা সৌরজগতের এই সীমানার নামকরণ করেছে হেলিওপজ। সেই এলাকায় সূর্য থেকে আসা চার্জযুক্ত কণার একটি প্রবাহ সৌর বায়ু তার শক্তি হারায়। এই বিন্দুর বাইরে আন্তনাক্ষত্রিক মহাকাশ রয়েছে। নাসা সূর্যের প্রভাবে গঠিত বুদ্‌বুদের শেষ প্রান্তের সঙ্গে হেলিওপজ তুলনা করে।

হেলিওপজ অতিক্রম করার পর উভয় ভয়েজার অত্যন্ত উত্তপ্ত অঞ্চলের মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অতিরিক্ত তাপ সত্ত্বেও ভয়েজার দুটি অক্ষত আছে। নাসা জানিয়েছে, এই আগুনের দেয়াল আসলে আগুন দিয়ে তৈরি নয়। সেখানে অত্যন্ত শক্তিশালী কণা রয়েছে, যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এসব কণার মধ্যে ভারী শক্তি রয়েছে। এসব কণা আগুনের মতো জ্বলে না। এই উচ্চশক্তির অঞ্চল অতিক্রম করার পর ভয়েজার দুটি আন্তনাক্ষত্রিক স্থান থেকে চৌম্বকক্ষেত্রের তথ্য রেকর্ড করেছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, হেলিওপজের বাইরের চৌম্বকক্ষেত্র সৌরজগতের ক্ষেত্রের সঙ্গে সংযুক্ত। আগে মনে করা হতো, দুটি অঞ্চল সম্পূর্ণ পৃথক।

সূত্র: ইকোনমিক টাইমস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স রজগত র আগ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—

প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।

প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অতিথিদের কথা—

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ