রাজশাহীতে হত্যা মামলার আসামি হামলায় নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত
Published: 11th, August 2025 GMT
রাজশাহীর দুর্গাপুরে পূর্ববিরোধের জেরে হামলায় ওয়াজেদ আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি আহত হন। পরে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ওয়াজেদ আলী উপজেলার হোজা অনন্তকান্দি গ্রামের দলিম উদ্দিনের ছেলে। ওই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৫) ও ছেলে মাসুম আলী (২৮) আহত হন।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওয়াজেদ তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে হোজা বিলের পশ্চিম পাশে নিজেদের পান বরজে কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা লাঠি, লোহার রড, হাঁসুয়া ও রামদা দিয়ে ওয়াজেদকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে তাঁর মাথা, বাঁ হাতের কবজি ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী লাইলী ও ছেলে মাসুমও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা ওই তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওয়াজেদ ও তাঁর ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার নেপথ্যে গত ১৪ মে একটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জড়িত। ওই দিন জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই গ্রামের হাসিবুর রহমান (২৮) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ১৫ মে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলার ৭ নম্বর আসামি ছিলেন ওয়াজেদ আলী। সম্প্রতি আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তবে প্রতিপক্ষের হুমকির কারণে তিনি নিজের বাড়িতে থাকতেন না।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে জানিয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হুদা বলেন, সেই ঘটনায় মামলায় ওয়াজেদ আলীও আসামি ছিলেন। তিনি সম্প্রতি জামিন পান। পরে ওই একই ঘটনায় প্রতিপক্ষ তাঁর ওপর হামলা চালায়।
ওসি দুরুল হুদা আরও যোগ করে বলেন, ওয়াজেদ আলীকে হত্যা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ