‘আলোকচিত্রীকে গুলির মুখে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে হয়’
Published: 11th, August 2025 GMT
আলোকচিত্রীদের গুলির সামনে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে হয়। অন্য কোথাও উপস্থিত থেকে দৃশ্য ধারণের সুযোগ নেই। তাই তাঁদের কাজই যেকোনো বিপ্লবের দলিল হিসেবে থাকে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিরোধের স্বাক্ষর আলোকচিত্রীদের তোলা ছবিগুলো। এসব কথা উঠে এল ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরুর আয়োজনে।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু হয় ‘গণ-অভ্যুত্থানে আলোকচিত্র, জুলাই আলোকচিত্র: ইতিহাসের সাক্ষী ও লড়াইয়ের হাতিয়ার’ শীর্ষক ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। পাঁচটি ভ্যানে প্রদর্শন করা হচ্ছে ১৪ জন আলোকচিত্রীর কাজ। প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত।
প্রদর্শনী শুরুর আগে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুলির মুখে দাঁড়িয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ছবি তোলার অভিজ্ঞতার কথা বলেন আলোকচিত্রীরা।
আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম বলেন, ‘এ উদ্যোগে মানুষের কাছে গ্যালারিকে নিয়ে আসা হয়েছে। দেখুন পথের শ্রমজীবী মানুষও দাঁড়িয়ে ছবি দেখছে।’ তিনি বলেন, ‘আলোকচিত্রীরা যদি না থাকত, তাহলে হয়তো শেখ হাসিনাই থাকতেন গদিতে। এই আন্দোলনে আলোকচিত্রীদের ভূমিকা মনে রেখে তাঁদের কাজের সম্মান করা, কপিরাইটস দেওয়া উচিত।’
শহীদুল আলম আরও বলেন, ‘যাঁরা লেখেন বা প্রতিবেদন করেন, তাঁদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়েও কাজটি করার সুযোগ থাকে। কিন্তু একজন আলোকচিত্রীকে গুলির মুখে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে হয়।’
আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সেই দিনগুলো স্মরণ করতে আয়োজন করা হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর। অভ্যুত্থানের দলিল হিসেবে কথা বলবে এসব আলোকচিত্র।’
পাঠশালার শিক্ষক আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ‘যখন গণমাধ্যম কোনো ভূমিকা রাখতে পারছিল না তখন কথা বলেছে ছবি। জীবন বাজি রেখে আলোকচিত্রীদের তোলা এসব ছবি সত্যের দলিল।’
আলোকচিত্রী জীবন আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর বিজিবির গুলি চালানোর কথা। সে সময় তাঁরা গুলিবিদ্ধ করতে পারলে বলে উঠছিল, একটা কনফার্ম, একটা কনফার্ম।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে নবীনবরণ, র্যাগিং ইস্যুতে কঠোর প্রশাসন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার।
তবে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়।
আরো পড়ুন:
গকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। এর মধ্যে সাতটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থাকলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদে কোনো আসন ফাঁকা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, “ফাঁকা আসনের বিষয়ে গতকাল (রবিবার) জিএসটি কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র্যাগিংবিরোধী প্রচার প্রচারণা চালান হয়েছে। নবীনদের র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।
তিনি বলেন, “আমরা র্যাগিং নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনদিন ধরে আমরা র্যাগিং সচেতনায় মাইকিং করছি। এছাড়া বিভাগগুলোতে কাউন্সিলর নিয়োগ, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং পোস্টার লাগানো হবে। কোনো র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী