রাঙামাটি শহরে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ—ঝুলন্ত সেতু। কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সেতুটি ডুবে রয়েছে ১৩ দিন ধরে। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে আসা পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

রাঙামাটির পর্যটনসংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারণে ঝুলন্ত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে দেড় থেকে দুই মাস পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকছে সেতুটি।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গত ৩০ জুলাই রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। আজ সোমবার পর্যন্ত সেতুটি দুই ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধস ও দুর্যোগের ঘটনার পর থেকেই প্রতি বর্ষায় ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে তলিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এর অন্যতম কারণ কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া।

১৯৮৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। পরে এটি রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেতুটি নির্মাণের পর সারা দেশ থেকে পর্যটকেরা এটি দেখতে ছুটে আসতে শুরু করেন। এখনো সেতুটি দেখতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ দর্শনার্থী আসেন এবং প্রতিবছর অন্তত অর্ধকোটি টাকা আয় হয় বলে জানিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।

১৯৮৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। পরে এটি রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেতুটি নির্মাণের পর সারা দেশ থেকে পর্যটকেরা এটি দেখতে ছুটে আসতে শুরু করেন। এখনো সেতুটি দেখতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ দর্শনার্থী আসেন এবং প্রতিবছর অন্তত অর্ধকোটি টাকা আয় হয় বলে জানিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।

ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা দুই পর্যটক মো.

সাইফুল ইসলাম ও মো. রিয়াদ আজ সকালে সেতুটি দেখতে যান। দুজন প্রথম আলোকে জানান, সেতুটি পানিতে তলিয়ে রয়েছে তাঁরা জানতেন না। সেতুটিতে উঠে ছবি তোলার ইচ্ছা ছিল। তবে সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর এটির পাটাতনসহ কিছু অংশ মেরামত করা হয়। তবে বড় ধরনের মেরামত করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষায় এটি ডুবছে। আমরা সেতুটি আরও ওপরে উঠানোর চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি পর্যটন করপোরেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সুখবর আসতে পারে।’ সেতু থেকে প্রতি মাসে অন্তত ৫ লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর যটক র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারের দরিয়ানগরের শাহেনশাহ গুহা কেন পর্যটকদের হতাশ করছে

ছবি-প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিশ্রুত সেবা দেয়নি হাউসবোট, পরে ১০০ এতিমকে খাওয়ানোর শর্তে মীমাংসা
  • কক্সবাজারের দরিয়ানগরের শাহেনশাহ গুহা কেন পর্যটকদের হতাশ করছে