গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
Published: 11th, August 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাকে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সেবা শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মাউশি’র সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জাবের মো.
আরো পড়ুন:
জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যা: অভিযোগপত্রে নেই সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
নোবিপ্রবিতে অ্যাকোয়াফুড গবেষণা-বিষয়ক কর্মশালা
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ দুই পাতার একটি প্রবন্ধ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে, যেখানে শহীদ ও আহতদের ছবি, পরিচয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান একটি কমিটি গঠন করে প্রবন্ধটি লিখে সম্পাদনা করবেন। এছাড়া, প্রবন্ধের সঙ্গে প্রমাণপত্র হিসেবে সরকারি গেজেট, সংবাদ প্রকাশনা, ছবি ও অন্যান্য নথির স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
প্রবন্ধের হার্ডকপির পাশাপাশি সফটকপি নিকস বাংলা ১৪ ফন্টে লিখে ই-মেইল করতে হবে [email protected] ঠিকানায়।
সরকারি কলেজগুলোর জন্য পৃথক নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কলেজগুলোকে ১৪ আগস্টের মধ্যে [email protected] ঠিকানায় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
পুরো প্রক্রিয়ার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব বদরুল হাসান লিটন। প্রয়োজনে তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অনুরোধও করা হয়েছে নির্দেশনায়।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত জ ল ই গণঅভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন আহত প রবন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ