জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাকে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সেবা শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। 

মাউশি’র সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জাবের মো.

সোয়াইব স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে,   জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা। শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ নতুন সম্ভাবনার পথে যাত্রা শুরু করেছে। শহীদরা শুধু শিক্ষার্থী ছিলেন না, তারা ছিলেন পরিবর্তনের মশালবাহী ও গণতন্ত্রের সৈনিক। শহীদ ও আহতদের অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যা: অভিযোগপত্রে নেই সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম

নোবিপ্রবিতে অ্যাকোয়াফুড গবেষণা-বিষয়ক কর্মশালা

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ দুই পাতার একটি প্রবন্ধ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে, যেখানে শহীদ ও আহতদের ছবি, পরিচয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান একটি কমিটি গঠন করে প্রবন্ধটি লিখে সম্পাদনা করবেন। এছাড়া, প্রবন্ধের সঙ্গে প্রমাণপত্র হিসেবে সরকারি গেজেট, সংবাদ প্রকাশনা, ছবি ও অন্যান্য নথির স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।

প্রবন্ধের হার্ডকপির পাশাপাশি সফটকপি নিকস বাংলা ১৪ ফন্টে লিখে ই-মেইল করতে হবে [email protected] ঠিকানায়।

সরকারি কলেজগুলোর জন্য পৃথক নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কলেজগুলোকে ১৪ আগস্টের মধ্যে [email protected] ঠিকানায় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

পুরো প্রক্রিয়ার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব বদরুল হাসান লিটন। প্রয়োজনে তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অনুরোধও করা হয়েছে নির্দেশনায়।

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত জ ল ই গণঅভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন আহত প রবন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইউট্যাবের বিজয় র‍্যালি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপিপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা। এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোড থেকে এ বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তারা।

এ সময় ইউট্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এ দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। ২০২৪ এ আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। যে বৈষম্যের কারণে এ আন্দোলন হয়েছিল, সেই বৈষম্য এখনো বন্ধ হয়নি।”

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

রাবির ২১ আওয়ামী শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ, বিচার দাবি ছাত্রদলের

তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন, বিপ্লবের ১ বছর পার হলেও এখনো তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়নি। গত ১৬ বছর অত্যাচার, হামলা-মামলা সহ্য করে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এইটা আমরা করেছি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। যাতে জনগণ ভোট দিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”

ইউট্যাবের সদস্য ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “বিজয় র‍্যালিতে সাধারণত আনন্দ হয়। কিন্তু আমরা আজ ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করছি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমরা জুলাই শহীদদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ১ বছর হয়ে গেল, আমাদের উচিত ছিল তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা। কিন্তু সেই সময় কিছু জাতীয় নেতৃবৃন্দ কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠছেন।”

তিনি বলেন, “যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, যারা অন্ধ হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তারা সমুদ্র সৈকতে আনন্দ করছেন। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে যা হয়, আমরা তার প্রমাণ পাচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে একটি জবাবদিহিমূলক সরকারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। আমরা প্রদীপের আলো দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু সেই আলো বড় পরিসরে আমাদের সামনে আসেনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমাদের হয়তো আবার রাস্তায় নামতে হতে পারে।”

ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দ্বারা এ দেশের জনগণ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা, ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করে রাখা হয়েছিল। গত জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “নব্য যারা ফ্যাসিস্ট, তারা শেখ হাসিনার মতো সেই ব্যবস্থা পুনরাবৃত্তি করতে চায়। তাদের সহযোগিতা করছে একটি গুপ্ত বাহিনী ও তাদের সহযোগী সংগঠন। তাদের আমরা বলতে চাই, যতই ষড়যন্ত্র করেন কোনো লাভ হবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তি গত ১৭ বছর সংগ্রাম করেছে, আগামী দিনেও রাজপথে গিয়ে সব দাবি আদায় করে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে “

ইউট্যারের রাবি শাখার সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. খালেদউজ্জামান মিজানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জিএম শফিউর রহমান ও আব্দুল আলিম, রাবি শাখা ইউট্যাবের সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক হিরা সোবহান, অধ্যাপক গোলাম সাদিক, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক নুরুজ্জামান হক, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, নাঈম ফারুকী লুথার, স্বপ্নীল রহমান, ড. সাবিনা সুলতানা প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইউট্যাবের বিজয় র‍্যালি
  • গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের নিয়ে প্রবন্ধ পাঠানোর নির্দেশ
  • সিরাজদিখানে ট্রাকের পেছেনে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • ‘গণহত্যার বিচার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে’
  • শাবিপ্রবিতে ‘অধিকার সচেতন’ শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘হামলাকারী’ শ্রমিক লীগ নেতা নাছির গ্রেপ্তার
  • জাবিতে ১৭ হলে ছাত্রদলের কমিটি, বাগছাসের উদ্বেগ
  • ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রূপগঞ্জে শ্রমিক সমাবেশ ও দোয়া