মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে কয়েক বছর ধরেই প্রশ্নটি উঠছে—অবসর নেবেন কবে? ধোনি প্রতিবারই এই প্রশ্নের উত্তর এমনভাবে দেন যে বোঝার উপায় থাকে না, তিনি কবে অবসর নেবেন। একটা রহস্য তিনি রেখেই দেন সব সময়।

কিছুদিন আগে যেমন চেন্নাইয়ে ব্যক্তিগত এক অনুষ্ঠানে গিয়েও ধোনিকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। ভারত জাতীয় দল ও চেন্নাই সুপার কিংস কিংবদন্তি বরাবরের মতোই কথার ‘ড্রিবলিং’য়ে পার পেয়ে গেছেন, ‘আগেও বলেছি, (অবসরের) সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এখনো অনেক সময় আছে। আমি কোনো তাড়া দেখছি না।’

আরও পড়ুন‘নির্বাচক হলে বুমরাকে আইপিএলে খেলতে দিতাম না’২ ঘণ্টা আগে

ধোনি এই কথা বলার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠত, তাহলে আইপিএলের আগামী মৌসুমে খেলবেন কি না? সেটা জানা ছিল বলেই ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক আগেভাগেই উত্তর দিয়ে দেন। আর সেই উত্তর যেন হলিউড পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার,‘যদি প্রশ্ন করেন, আমি আবার হলুদ জার্সিতে ফিরব কি না—আমি বলব, আমি সব সময়ই হলুদ জার্সির অংশ হয়ে থাকব। খেলছি কি না, সেটা বড় কথা নয়।’

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি আরেকটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ধোনিকে সঞ্চালকের কাছে শুনতে হয়েছে, ২০২৬ আইপিএলে তিনি খেলবেন কি না? ৪৪ বছর বয়সী ভারতীয় কিংবদন্তি উত্তরে বলেন, ‘জানি না খেলব কি না। ডিসেম্বর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে। তাই আরও কয়েক মাস সময় নেব এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

এ সময় সামনে উপস্থিত জনতার ভেতর থেকে এক ভক্ত কণ্ঠ আবেগ ঢেলে ধোনিকে বলেন, ‘আপনাকে খেলতেই হবে স্যার।’ ‘ক্যাপ্টেন কুল’ তকমার পাশাপাশি উপস্থিত বুদ্ধি ও মজা করার জন্য ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট মহলে কম যান না। মজার সুরেই সেই ভক্তকে ধোনি উত্তর দেন, ‘তাহলে হাঁটুর ব্যথার দেখাশোনা কে করবে?’

আরও পড়ুন‘সিরাজ কী খায়, কী পান করে নেয়—সবই ইংল্যান্ডের বোলারদের দিতে চাই’৫১ মিনিট আগে

ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন ধোনি। চেন্নাই অধিনায়ক হিসেবে একাধিকবার জিতেছেন আইপিএল। তবে বয়সের ভারে ধোনির সেই আগের দিন আর নেই। আইপিএলে গত মৌসুমে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে সমালোচিত হন।

অনেকেরই ধারণা, আইপিএলের আগামী মৌসুম শুরুর আগেই ক্রিকেটকে বিদায় বলতে পারেন ধোনি। তবে সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর। যদিও তাঁর হাঁটুর সমস্যাও বেশ পুরোনো। চেন্নাইকে ২০২৩ আইপিএল জেতানোর পর মুম্বাইয়ে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করান ধোনি। ওই মৌসুমে হাঁটুতে অস্বস্তি নিয়েই খেলেছিলেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হাঁটুর যত্ন নিতেই আইপিএলে গত দুই মৌসুমে ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে নেমেছেন ধোনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ