ফেনী সীমান্ত থেকে ধরে নেওয়ার সাত ঘণ্টা পর বাংলাদেশি এক কৃষককে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলার পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর কেতরাংগা গ্রামের সীমান্তে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে সকালে একই সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

বিএসএফের ফেরত দেওয়া কৃষকের নাম নুরুল ইসলাম (৬০)। তিনি পরশুরাম উপজেলার উত্তর কেতরাংগা গ্রামের সুলতান আহাম্মদের ছেলে।

বিজিবি জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর কেতরাংগা গ্রাম সংলগ্ন সীমান্ত থেকে কৃষক নুরুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফের টহল দল। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি জানার পর আটক বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে দিতে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল হক জানান, নুরুল ইসলাম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি গ্রাম থেকে সবজি কিনে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর এক ছেলে ও তিন কন্যাসন্তান রয়েছে।

বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি নাগরিককে বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে নুরুল ইসলামকে তাঁর ছেলে মো. নুর আলমের কাছে ফিরিয়ে দেয় বিজিবি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ