বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এবার একটি বন্যহাতি আহত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার চাকঢালা সীমান্তের ৪৩-৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে চাকঢালা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থলমাইন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দুপুর ২টার দিকে চেরার মাঠ এলাকার ঐতাইল্ল্যা ঝিরিতে পায়ের গোড়ালি উড়ে যাওয়া আহত একটি বন্যহাতি দেখতে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা হাতিটিকে আটক করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সালাম বলেন, ‍“মাইন বিস্ফোরণে বন্যহাতির পায়ের গোড়ালি উড়ে গেছে। স্থানীয়রা হাতিটিকে উদ্ধারে করে চিকিৎসা দিতে চেরার মাঠে রেখেছেন।”

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে বন্যহাতির অস্তিত্ব সংকট, করিডোর হারিয়ে বিলুপ্তির শঙ্কা

রাঙামাটির পাহাড়ে গোলাপি হাতি: ‘বিরল হলেও অস্বাভাবিক নয়’

নাইক্ষ্যংছড়ি বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.

মোজাম্মেল হক সরকার বলেন, “মাইন বিস্ফোরণে আহত  হাতিটির ডান পায়ে গোড়ালি উড়ে যাওয়ায় সেটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে নেই এন্টিভেনম, ২ সপ্তাহে সাপের কামড়ে মৃত ৫

ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে গত দুই সপ্তাহে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনম না থাকায় সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন রোগীরা।

সর্বশেষ শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের স্কুলছাত্র সাকিবুল ইসলাম (পঞ্চম শ্রেণি) বিষধর সাপের কামড়ে মারা যায়।

জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর, এরপর ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং সবশেষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসব হাসপাতালের কোথাও এন্টিভেনম মজুত ছিল না। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সাকিবুলের।

সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন বলেন, “চারটা হাসপাতালে নিয়েও ভ্যাকসিন পাইনি। কোলের উপরেই ছেলেকে হারালাম। আর যেন কোনো বাবার বুক খালি না হয়, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”

অন্যদিকে, সাকিবুলের মতো পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানীসহ গত দুই সপ্তাহে জেলায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অন্তত পাঁচ জন।

সম্পা রানীর স্বামী জিতেন বলেন, “হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওঝার কাছে যেতে হয়েছে। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। দেড় বছরের সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।”

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আজমুল হক বলেন, “বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষা শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুত রাখা উচিত।”

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, “চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও সংকট রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত আনার।”

সাপের কামড়ে মৃত্যুর এই ধারাবাহিক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। চিকিৎসক ও সচেতন মহল বলছে, বর্ষার শুরুতেই প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম সরবরাহ করতে হবে।

ঢাকা/হিমেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ